Home Uncategorized অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলার ঘটনায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলার ঘটনায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক
A+A-
Reset

রমজান আলী টুটুল সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী’র বিরুদ্ধে হওয়া অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌর পরিষদ। ২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০ টায় পৌর অধিবেশন কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মেয়র মামলার অভিযোগ বিষয়ে কোন সদুত্তর দেননি। মামলার বাদী’র কাছ থেকে এক লাখ টাকার চেক নেয়া, ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন এবং আরও এক লাখ টাকা দাবী করা সংক্রান্ত অভিযোগও খন্ডন করেননি। এমনকি সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতে নিষেধ করা হয়। অনুষ্ঠান ভিডিও বা রেকর্ডিং করতেও দেয়া হয়নি।

কোন রকমে শুধু একটি লিখিত প্রেস রিলিজ পাঠ করেন মেয়র। তাতেও বেশ কয়েকটি ভুল থাকায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন। উক্ত প্রেস রিলিজে মূল ঘটনা পাশ কাটিয়ে মেয়র বলেন, আমার বিরুদ্ধে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের গাউসুল আজম ফারুকী নাকি মামলা করেছে। ওই মামলা বিষয়ে আমার জানা নেই। মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

তিনি আরও বলেন, মামলার বাদী বিগত পরিষদের আমলেও মহামান্য হাইকোর্ট এবং নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ কোর্টেও বিভিন্ন প্রকার মামলা করেছিলেন। সেগুলোতে আদালত পৌরসভার পক্ষে রায় দিয়েছেন এবং তার আবেদন খারিজ করেছেন।

মেয়র বলেন, আইন অমান্য করায় ইতোপূর্বে তার ছয়তলা ভবনের নকশা বাতিল করে অবৈধ স্থাপনা নিজ খরচে ভেঙে ফেলারও নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন আদালত। কিন্তু তা অমান্য করে সরকারী কাজে বাধা, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর ও বিভ্রান্তিমূলক বিভিন্ন তথ্য ফেসবুকসহ গণমাধ্যমে প্রচার করে চলেছে।

তার এমন ডিজিটাল আইন পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শিগগিরি মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে পৌর পরিষদ। প্রশাসনের সহযোগীতা পেলে তার অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলবো। আাদালতের সম্মান বাঁচানোর স্বার্থে একাজ করা হবে বলে জানান মেয়র।

তিনি বাদীর বিত্ত বৈভবের উৎস কোথায় এমন প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ ব্যাপারে লিখিত জানানো হবে। একজনের জন্য যাতে কোন নাগরিকের সেবা বিঘ্নিত না হয় সেজন্য সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন আকতার শাহিন, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবায়দুর রহমান শাহিন প্রমুখ।

এ ব্যাপারে গাউসুল আজম ফারুকী বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে আমার বাড়ির লিফট স্থাপনের জন্য নতুন নকশা অনুমোদন করে দিবেন বলে মেয়র ১ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে নিয়েছেন। চেকে তাঁর স্বাক্ষর ও টাকা উত্তোলনের নথিই তার প্রমান।

মেয়র হওয়ার পর নানা টালবাহানায় সময়ক্ষেপণ করেন এবং আরও ১ লাখ টাকা দাবী করেন। তা দিতে সম্মত না হওয়ায় এখন টাকা নেয়ার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে প্রতারণা পূর্বক আত্মসাৎ করেছেন। বাধ্য হয়ে মামলা করেছি।

তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে তিনি মৃল ঘটনা এড়িয়ে আবারও মিথ্যেচার করেছেন। ইতোপূর্বে আমার করা মামলা হাইকোর্টে এখনও চলমান। আমার আবেদন খারিজ করার কথা ভুয়া। কোর্টের ওয়েবপেইজে গেলেই এর সত্যতা পাওয়া যাবে।

ক্ষমতার দাপটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও দুদকের ভয় দেখিয়ে সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে মেয়র পার পাবেন না। মিথ্যের খোলস উম্মোচন হবেই। তখন তিনি আরও দিগম্বর হবেন। ওয়েট এন্ড সি।

বিপি/কেজে

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী