ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে এনজিও কর্মী শিউলী আক্তারকে ধর্ষণ শেষে হত্যার
ঘটনায় জড়িত রিপন মোল্যা (৩৯) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন
আদালত।
এছাড়া ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত রিপন মোল্যার বাড়ী বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর গ্রামে। তার পিতার নাম কুরবান মোল্যা।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার
এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় অপর ৮ জনকে বেকসুর
খালাস দেওয়া হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন সাইদ মাতুব্বর, ফজর খা, বক্কার মোল্যা, রফিক
মোল্যা, মিকু মাতুব্বর, রঞ্জু সরদার, বিপুল সরদার ও ওবায়দুর মোল্যা। মামলা সূত্রে
জানা গেছে, বোয়ালমারী দাদপুর গ্রামের জনৈক বারেক মোল্যার কন্যা,
এসডিসি নামক এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মী শিউলী আক্তার ২০০৯ সালের ১২ জুলাই
বোয়ালমারী অফিস থেকে সন্ধ্যার পর বাড়ী ফেরার পথে পূর্ব পরিচিত রিপন মোল্যা ও
তার সহযোগীরা অপহরন করে একটি পাটখেতে নিয়ে ধর্ষন করে। পরে শিউলী
আক্তারকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বারেক মোল্যা
বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
দীর্ঘ শুনানী শেষে এ রায় ঘোষনা করা হয়। রায় ঘোষনার সময় আসামিরা আদালতে
উপস্থিত ছিলেন।
বিপি/ আর এল