আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ৪নং জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের নৌকার মনোনয়ন পেতে ৬জন প্রার্থী দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আবুল হাচান, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এহ্ধসঢ়;তেশামুল হক, তরুন ছাত্রনেতা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সব্যসাচী রায়, ইউনিয়ন যুবলীগের
সভাপতি আজাহারুল ইসলাম জুয়েল, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক সাখওয়াত হাবিব বাবু ও জাতীয় শ্রমিকলীগের ইউনিয়ন সভাপতি বুলবুল আলম বুলু।
যেহেতু ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন হবে। সেই নির্বাচনকে ঘিরে সকল প্রার্থী এলাকার বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় ব্যপক প্রচার প্রচারণার পাশাপাশী সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে পথসভা, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করে ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলাসহ বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদের ব্যপক উপস্থিত চোখে পড়ার মতো। দলের মনোনয়ন পেতে উপজেলা ও জেলার দলীয় নেতাদের সাথে সক্ষতা গড়ে তুলেছে তারা। সকলে ভোটারদের কাছে গিয়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুধু মাত্র নৌকা প্রতিকটি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখন শুধু জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ৬ প্রার্থীর মধ্যে কে হতে পারে জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের নৌকার মাঝি।
বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাচান বলেন, সকল প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র আমি পুরাতন আ’লীগ। ১৯৯২ সালে আমি প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। ২০১৬ সালে ২য় বারের মতো নৌকা প্রতিক নিয়ে পূণরায় নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নে ব্যপক উন্নয়ন করেছি। আশাকরি আ’লীগ থেকে আবারো মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো। আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এহ্ধসঢ়;তেশামুল হক জানান, ১৯৯৯ সালে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে আমার রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘদিন দায়ীত্ব পালন করে ২০১৩ সালে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই।
পাশাপাশী এম,এ,বিএ্যাড শেষে করে ৭ বছর যাবত মিরজাগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছি। ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার স্যারের মৃত্যুর পর থেকে আ’লীগকে সু-সংঘটিত করতে দিনরাত কাজ করে আসছি। আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত হয়ে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জোড়াবাড়ীকে মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করতে চাই। ছাত্রলীগের সভাপতি সব্যসাচী রায় জানান, ছাত্রজীবন থেকে মুজিবি আদর্শ বুকে লালন করে ২০০৬ সাল থেকে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি থেকে ২০১৪ সালে ইউনিয়ন সভাপতির দ্বায়ীত্ব গ্রহন করি। দলকে সংসংঘটিত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় জেলার নেত্রীবৃন্দ আমাকে ২০১৯ সালে ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দ্বায়িত্ব অর্পণ করেন। সেই থেকে অদ্যবদি সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছি।
এ ছাড়াও উপজেলাসহ নিজ ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনে নিজেকে জড়িয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রি জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছি। যুবলীগের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, আমি আ’লীগ পরিবারের সন্তান আমার পিতা ১৯৮৪ সাল থেকে দলের সক্রিয় কর্মী থেকে বর্তমানে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছে। আমিও তার সন্তান হিসাবে জাতির জনকের আদর্শে উৎজীবিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হই। কলেজ থেকে রাজনীতি শেষ ২০১৩ সালে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে একটানা ২০১৭ সাল পর্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করি।
পরে নির্বাচনের মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগের নেত্রীবৃন্দ ২০১৮ সালে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন। আমি নির্বাচিত হলে সামাজিক, মানবিক ও আধুনিক পরিষদ গড়ে তুলবো। সেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক সাখওয়াত হাবিব বাবু জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক হিসাবে দায়ীত্ব পালন করছি। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইসতেহার (গ্রাম হবে শহর)। পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন থেকে আমরা অনেকটাই অবহেলিত।
ইতোমধ্যে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে আমি ব্যাপক ভুমিকা রেখেছি। ইউনিয়নের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনে নিজেকে জড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রির উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দলকে সংগঠিত করে চলেছি। প্রিয় নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত হয়ে এলাকায় মাদক, জুয়া, অসামাজিক কর্মকান্ড প্রতিহত করে দূর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়বো। শ্রমিক নেতা বুলবুল আলম বুলু বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় শ্রমিকলীগের ইউনিয়ন সভাপতি হিসাবে দায়ীত্বে আছি। দলীয় প্রোগ্রামে আমাদের শ্রমিকের ভুমিকা ছিল ব্যপক। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমিও মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে অসহায় মানুষের অধিকার আদায়ে আলোকিত ইউনিয়ন গড়তে উক্ত নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে মনোনয়ন পাওয়ার জোর দাবী জানাই।
বিপি/কেজে