বাংলাপ্রেস ডেস্ক: একদিনে তিস্তার পানি বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের ফ্লাড বাইপাস বাঁধ, কাকিনা-রংপুর বাইপাস সড়ক এবং স্থানীয় বেশ কিছু সড়ক ভেঙে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় স্থানীয় যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টায় দোয়ানি ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি পরিমাপক রুহুল ইসলাম।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডিমলা জানায়, বুধবার (২০ অক্টোবর) হঠাৎ তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। ওই দিন পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপরে। অর্থাৎ পানির পরিমাপ দাঁড়িয়েছিলো ৫৩.৩০ মিটারে। তিস্তার দোয়ানি ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহের বিপৎসীমা ৫২.৬০ মিটার এবং এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৩.১৫ মিটার। বুধবারের পানি প্রবাহ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
তিস্তার এই পানি বৃদ্ধির কারণে রেড এলার্টও জারি করা হয়। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন এসপি (বি সার্কেল) এবং থানা পুলিশের টিম বন্যা কবলিত স্থানগুলো পরিদর্শন করে। বুধবার রাত একটায় মহিপুর-রংপুর সড়ক পরিদর্শন করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর এবং রংপুরের গঙ্গাচরা আসনের এমপি মশিউর রহমান রাঙ্গা।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে- আগাম ভুট্টা, পাকা ধান, আগাম জাতের মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু পুকুরও ভেসে গেছে।
জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছি। ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে প্লাবন এলাকায় জরুরী নৌকা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো জরুরী পরিস্থিতির মোকাবেলায় আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়েছি।
বিপি/কেজে/আর এল