সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ রামগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন থেকে উপজেলার আনাচে কানাচে ছিলো সরগরম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছিলো পছন্দের প্রার্থীদের জন্য শুভ কামনার ঝড়।
নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতে প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকলেও দলের হাইকমান্ড তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে এবং জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করেন। আজ সোমবার বিকাল ৪টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত হাতে পেলে সাংবাদিকরা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হন।
এসময় উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৩টি ইউনিয়নে নতুন ও বাকী ৭ ইউনিয়নে পুরাতনদের হাতে নৌকা প্রতীকে তুলে দেয়া হয়।
১ নম্বর কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ নাছির হোসেন খাঁন, ২ নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নে নতুন মুখ মোঃ সোহেল পাটোয়ারী, ৩ নম্বর ভাদুর ইউনিয়নে নতুন মুখ মোঃ জাবেদ হোসেন, ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ আক্তার, ৫ নম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূইয়া, ৬নম্বর লামচর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহেনারা পারভীন পান্না, ৭নম্বর দরবেশপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ৮ নম্বর করপাড়া ইউনিয়নে মোঃ মুজিবুর রহমান, ৯ নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়নে মোঃ জামান পাটোয়ারী দুলাল ও ১০ নম্বর ভাটরা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠুকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
এছাড়াও ২ নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব মোহাম্মদ হোসেন রানা, ৩ নম্বর ভাদুর ইউনিয়নের জনপ্রিয় ও জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান জাহীদ হোসেন ভূইয়া ও ভোলাকোট ইউনিয়নের বহুল আলোচিত এবং সমালোচিত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে বহিস্কৃত চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিককে বাদ দিয়ে নতুনদের হাতে নৌকা তুলে দেয়া হয়।
তবে প্রতিটি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে দলের প্রকৃত নেতাদের বাদ দেয়ার জন্য কোটি টাকার বানিজ্য হয়েছে।
জনপ্রিয় অনেক নেতাদের নাম কেন্দ্রীয়ভাবে প্রেরণ করা হয়নি।
বিপি/আর এল