জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাট্যদল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি (জবিরঙ্গ)। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ন্যায় এ বছরও তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে থাকছে না কোনো আয়োজন। জবিরঙ্গ ক্যাম্পাসের অন্যান্য নাট্যদলের অগ্রদূত। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের করুণ অবস্থায় আশীর্বাদস্বরূপ আলোর দিশারি হয়ে আসে নাট্যদলটি।
২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর সৃষ্টির সুরে নাট্য প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে তিন দিনব্যাপী নাট্য কর্মশালা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি।
সংগঠনটির উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা জনাব ড. কামালউদ্দিন কবির (সহকারী অধ্যাপক, নাট্যকলা বিভাগ)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মডারেটর জনাব সঞ্জীব কুমার দে, উপদেষ্টা জনাব আব্দুল্লাহ-আল-মাসুদ, চারুকলা বিভাগের সাবেক প্রধান জনাব মোহাঃ আলপ্তগীন প্রমুখ। ঢাকার প্রথম নাট্যদল পূর্ববঙ্গ রঙ্গভূমি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি’র নামকরণ করা হয়েছে।
ধারণা করা হয়, পূর্ববঙ্গ রঙ্গভূমি এর অবস্থান ছিলো বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে।
নাট্যকলা বিভাগের দুই তরুণ শিক্ষার্থী মাসফিকুল হাসান টনি (আহবায়ক) এবং সোলায়মান খান আপন (যুগ্ম-আহবায়ক)-র হাত ধরে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নিয়মিত পথনাটক প্রদর্শনী, ২১ ফেব্রুয়ারীতে নাট্য প্রদর্শনী, পূর্ণাঙ্গ নাটকের প্রযোজনা মঞ্চায়ন করতে থাকে সংগঠনটি। ২০১৯ সালে দুইটি নাট্য উৎসব আয়োজনের পাশাপাশি একটি করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় সংগঠনটি।
উপদেষ্টা ও পরিচালকদের একাগ্রতা এবং কর্মীদের উদ্যমে সংগঠনটি স্বল্প সময়ে বেশকিছু মূল্যবান অর্জনের অংশীদার হয়। জবিরঙ্গের প্রযোজনাসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য – পথনাটক প্রতিশোধ (১টি প্রদর্শনী) রচনা: অজ্ঞাত নির্দেশনা: সোলায়মান খান আপন কবর (২টি প্রদর্শনী) রচনা: মুনীর চৌধুরী নির্দেশনা: মাসফিকুল হাসান টনি স্থাপনা শিল্প রক্ত ঋণ (১টি প্রদর্শনী) পরিকল্পনা ও নির্মাণ: মাসফিকুল হাসান টনি মরীচিকা (১টি প্রদর্শনী) বিবর্তন (১টি প্রদর্শনী) পূর্ণাঙ্গ প্রযোজনা চিড়িয়াখানার গল্প (৪টি প্রদর্শনী) রচনা: এডওয়ার্ড এ্যালবি নির্দেশনা: মাসফিকুল হাসান টনি আয়না বিবির পালা (২টি প্রদর্শনী) রচনা: অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী নির্দেশনা: মাসফিকুল হাসান টনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক মাসফিকুল হাসান টনি বলেন, ক্যাম্পাসে নাট্যচর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং সুস্থ ও সুন্দর ধারার নাট্যচর্চা করাই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপে আমাদের দেশেরও বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তার কারণে গত বছরের ন্যায় এ বছরও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি সত্যিই দুঃখজনক। প্রশাসনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আগামীতে আরও চমৎকারভাবে এবং জাতীয় মানের উৎসবের আয়োজন করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিপি/কেজে