ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর হাসপাতালের ইউএইচএন্ডএফপিও ডা. হাসিবুস সাত্তার কে লাঞ্চিত করার ঘটনায় এক প্রতিবাদ সভায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ঝিনাইদহ বিএমএ সভাপতি ডা. মুন্সী মোঃ রেজা সেকেন্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ বিএমএ সাধারন সম্পাদক ডা. রাশেদ আল মামুন।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কোটচাঁদপুর হাসপাতালের ইউএচএন্ডএফপিও ডা. আব্দুর রশিদ।
প্রতিবাদ সভা থেকে বিএমএ সাধারন সম্পাদক কর্মসূচী ঘোষনা করেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা হারুন ও নাসিরকে গ্রেফতার এবং মঙ্গলবার থেকে শনিবার কালো ব্যাচ ধারন ও মানববন্ধন করা হবে। আসামী গ্রেফতার না হলে রবিবার থেকে খুলনা বিভাগে সর্বত্র কর্ম বিরতি পালন করা হবে। আগামী সোমবার এই ঘটনায় পূনরায় সভার মাধ্যমে নতুন কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
এ সময় হঠাৎ ঝিনাইদহ ৩ আসনের এমপি সভায় উপস্থিত হয়ে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, অপরাধীর কোন ছাড়া নেই এবং বিএমএ নেতৃবৃন্দকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।থানা সূত্রে থানা গেছে, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হারুন অর রশিদ ও নাসির উদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। সেখানে ডাউটডোরে ডাক্তার না পেয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য বলেন। তিনি চিকিৎসার জন্য প্রেসক্রিপশন দিয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কেনার কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এখন আউটডোর বন্ধ। ওষুধ পাওয়া যাবে না। আপনারা বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।এক পর্যায় ডা. হাসিবুস সাত্তারকে বেদম মারপিট করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তারা সড়ে পড়ে। এই ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ও যুগ্মসম্পাদক গাড়াবাড়িয়া গ্রামের রেজাউল দফাদারের ছেলে নাসির উদ্দিনকে আসামি করে মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে।
বিপি/কেজে