নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীতে রায়পুরার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরো ৫ জন। বৃহস্পতিবার সকালে রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে এই নিহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বাঁশগাড়ির বালুয়াকান্দি গ্রামের হেকিম মিয়ার ছেলে মো: সালাউদ্দিন মিয়া (৩০), বটতলীকান্দি গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৬) এবং সোবহানপুর গ্রামের আব্দুল হক মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (২৬)।
নিহত সালাউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর ইউপি: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাতুল হোসেন ওরফে জাকির হোসেনের সমর্থক এবং দুলাল মিয়া নৌকার প্রার্থী আশরাফুল হকের সমর্থক ছিলো।
স্হানীয় কাছ থেকে জানা যায়, বাঁশগাড়ি ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আশরাফুল হক সরকার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘’মোবাইল ফোন’ প্রতীকের জাকির হোসেন। কয়েক দিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং পরবর্তিতে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে।
পরে বৃহস্পতিবার ১১ নভেম্বর ভোরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সালাউদ্দিন। এ সময় বাকি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জন মারা যান।
বাঁশগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইউসুফ মিয়া বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় ২ যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। ১ জন হাসপাতালে নিবার পথে। তবে ওই ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলেছে।
এদিকে নরসিংদীর ১২টি ইউনিয়নে অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ যথারীতি সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট গ্রহণ চলে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মাঠে অবস্হান নিয়েছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। জেলার নরসিংদী সদর ও রায়পুরা উপজেলার মোট ১২টি ইউনিয়নে এই ভোট গ্রহণ চলেছে বিরতিহীন।
এর মধ্যে রায়পুরায় ১০ টি ও নরসিংদী সদরে ২টি ইউনিয়ন পরিষদের মোট ১১৫টি ভোটকেন্দ্রে ৫৩২টি ভোট কক্ষে ব্যালটের মধ্যমে চলছে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে চেয়ারম্যানে পদে মোট ৬৪ জন, সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩৫২জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে ১৩১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তিনজন নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিত কুমার ঘোষ।
বিপি/আর এল