গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বিশেষ ব্যক্তিকে পাইয়ে দিতে লটারিতে বিলম্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের মধ্যে সিন্ডিকেট করার পায়তারা চলছে।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ কাজ দ্রুত লটারির মাধ্যমে প্রদানের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তালিকাভূক্ত ত্রিশটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় গত অক্টোম্বর মাসে দরপত্র আহবান করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় পলাশবাড়ী গাইবান্ধা থেকে দরপত্র আহ্বান করেন। এতে ১৮৯টি দরপত্র জমা পড়ে। এজন্য প্রতিজন ঠিকাদারের কাছ থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা জামানত নেওয়া হয়। কিন্তু বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বিশেষ ব্যক্তিকে পাইয়ে দিতে লটারিতে বিলম্ব করা হচ্ছে। পলাশবাড়ীর বাইরের ঠিকাদারদের বাদ দিয়ে তাদের নিজস্ব ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য তালবাহানা করে সময়ক্ষেপন করছেন।
এতে সাধারন ঠিকাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অথচ জেলার অন্যসব উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একই প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত করেছেন বলে অভিযোগ উল্লেখ আছে। গাইবান্ধা শহরের থানাপাড়ার ঠিকাদার জিয়াউর রহমান বলেন, নিয়ম অনুয়ারী লাইন্সেসধারী ঠিকাদারনা দরপত্রে অংশ গ্রহন করেন। কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নিজস্ব ঠিকাদারকে কাজ দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের পায়তারা চালাচ্ছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তার নিজস্ব ঠিকাদারের সাথে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জিয়াউর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ঠিকাদারের সাথে সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আগামি ২৮ নভেম্বর পলাশবাড়ীর ছয়টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় লটারি করতে বিলম্ব হচ্ছে।
বিপি/কেজে