১৫ অক্টোবর ২০২৫

আজ ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ার হামলার ১৭ বছর পূর্ণ

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
আজ ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ার হামলার ১৭ বছর পূর্ণ

বাংলাপ্রেস অনলাইন: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ার হামলার আজ মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) ১৭ বছর পূর্ণ হলো। যুক্তরাষ্ট্রের সব শহর, এমনকি সারা বিশ্বই আজ দিনটি স্মরণ করছে। আজ বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা এই সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলার দিন সকালে আল-কায়েদার ১৯ জঙ্গি নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ও বোস্টন থেকে চারটি বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে। এই চারটি বিমান দিয়েই হামলা চালানো হয়। চারটি বিমানের দুটি আঘাত হানে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে, একটি মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে এবং চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভানিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। ধারণা করা হয়, চতুর্থ বিমানটি যেটা পেনসিলভানিয়ায় বিধ্বস্ত হয়, সেটার হামলা করার কথা ছিল হোয়াইট হাউসে। কিন্তু বিমানের যাত্রীরা রুখে দাঁড়ালে বিমানটি পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে বিধ্বস্ত হয়।

আল-কায়েদার প্রধান নেতা ওসামা বিন লাদেন এ হামলায় সমর্থন ও অর্থায়ন করেছিল বলে বিভিন্ন সময় দাবি করা হয়। ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত সমর্থন, পারস্য উপসাগরে দেশটির ভূমিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় অব্যাহত সামরিক উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে এ হামলা চালানো হয় বলে ধারণা করা হয়।

আত্মঘাতী এ হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হন। আহত হন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। বিবিসি জানায়, ২০০১ সালে নাইন/ইলেভেনের ওই হামলায় বিমান অপহরণকারীদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল সৌদি আরব থেকে।

হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ তাঁর ভাষায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সূচনা করেন। এর জের ধরে আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধ চালায় যুক্তরাষ্ট্র, যার রেশ এখনো চলছে। ওই আক্রমণের জন্য আল-কায়েদার সদস্যদের দায়ী করা হয়। আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন পরে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সেনাদের এক গোপন অভিযানে নিহত হন। নিউইয়র্কে বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের দুটি টাওয়ার যেখানে ছিল, সেই শূন্যস্থানে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল দুটি জলাশয়, চারপাশে উৎকীর্ণ হয়েছে নিহতদের নাম।

বাংলাপ্রেস/আর এল
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন