১৪ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতের ঝাড়খন্দের ব্ল্যাক স্টোন প্রথম আমদানি

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতের ঝাড়খন্দের ব্ল্যাক স্টোন প্রথম আমদানি
হাফিজুর রহমান হাবিব, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: দেশের উত্তরের চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতের ঝাড়খন্ডের প্রসিদ্ধ কালো পাথর আমদানি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে ভারতের ফুলবাড়ি হয়ে বাংলাবান্ধায় ট্রাকের মাধ্যমে প্রবেশ করেছে এ আমদানিকৃত কালো পাথর। ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে আসা ব্ল্যাক স্টোন পাথরগুলো আমদানি করেছে বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খন্দকার ট্রেডার্স। প্রাথমিকভাবে ১ হাজার মেট্রিক টন কালো পাথর (ভাঙ্গা) আমদানি করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ভারত থেকে রপ্তানী করেছে সরকার এন্টার প্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারী ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে পাথর আমদানি দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হলেও এই প্রথম বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের পাকুর এলাকা থেকে প্রসিদ্ধ কালো পাথর ব্ল্যাক স্টোন আমদানি শুরু হলো। এতে করে পাথর ব্যবসায় যুক্ত হলো নতুনমাত্রা। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে আর পর্যটনের অপার সম্ভাবনার সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করছে বাংলাবান্ধার চতুর্দেশীয় (বিবিআইএন) স্থলবন্দরটি। এ বন্দর হতে ভারতের ঝাড়খন্ডের দূরত্ব ৩শ কিলোমিটার। সড়ক, বিমান ও রেলপথে ভারতের যেকোন প্রান্তে যাতায়াতে সুবিধা থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনে অপার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। গত বছর ব্যবসা-বাণিজ্যের লক্ষমাত্রা পেরিয়ে দ্বিগুন রাজস্ব আদায় হয়েছে এ স্থলবন্দরে । এরপর আরও বেড়ে চলেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার। এ স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ছাড়াও বাংলাদেশে উৎপাদিত, পাট, ব্যাটারি, কোমল পানীয়, গার্মেন্টস সামগ্রী, ক্যাপ, হ্যাঙ্গার, সাবান, বিস্কুট, চানাচুর, জুস, কাচসহ বিভিন্ন দ্রব্য নেপালে রপ্তানি হচ্ছে এবং ভারত ও নেপাল হতে পাথর, মসুর ডালসহ বেশ কিছু পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে। খন্দকার ট্রেডাসের স্বত্ত¡াধিকারি খন্দকার আরিফ হোসেন লিপ্টন জানান, ব্ল্যাক স্টোন ভারতের ঝাড়খন্ডের পাকুর এলাকা প্রসিদ্ধ পাথর। পরীক্ষামূলকভাবে ১ হাজার টন পাথর এলসি করেছি। যার ভ্যালু ১৩ হাজার ইউএস ডলার, বাংলাদেশী মুদ্রায় ৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি টন ৩/৪-৫/৮ সাইজের পাথর সরকারি ভ্যাট ট্যাক্সসহ ৪৪/৪৫’শ টাকা পড়ছে এ স্থলবন্দর পর্যন্ত পৌছাতে। ঝাড়খন্ডের এ কালো পাথর প্রসিদ্ধ হওয়ার কারণে এর চাহিদা অনেক বেশি। তাই এ পাথর এলসির পর অনেকেই ব্ল্যাক স্টোন (কালো পাথর) আনার জন্য যোগাযোগ করছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তারা জানান, এ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম ব্ল্যাক স্টোন আমদানি করেছে খন্দকার ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ স্থলবন্দর পাথর নির্ভর হলেও এর আগে কখনো কালো পাথর আমদানি করা হয়নি। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক দিয়ে সম্ভাবনাময় ও ব্যবসা বান্ধব একটি বন্দর। ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করার জন্য কাস্টম কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন