হার্টফোর্ড প্রতিনিধি : ১৯ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের পর বাংলাদেশি এক নারীকে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে বাংলাদেশে ফেরত যাবার নির্দেশ দিয়েছে ইউ এস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)।যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ হ্যাভেন শহরের বাসিন্দা সালমা রেজা সিকান্দারের বহিস্কারের খবর ছড়িয়ে পড়লে কানেকটিকাটের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে আতঙ্কসহ তীব্র প্রতিক্রয়া দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন সালমা।ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পর আর দেশে ফিরে যাননি।যুক্তরাষ্ট্রে ছেলে জন্ম নেবার পর তিনি তার ছেলের দেখাশোনা করার জন্য এদেশের থাকার জন্য একটি কষ্টের আবেদন করেন। সালমার ১৭ বছর বয়সী ছেলে সামির মাহমুদ বর্তমানে স্থানীয় কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন।আগামী মাস থেকে তার ক্লাশ শুরু হবার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগেই তাদের পরিবারে নেমে এসেছে এক নিষ্ঠুর নির্মমতা।ছেলের স্বপ্ন চুরমার হতে চলেছে। আগামী ২৩ আগষ্ট তার মা সালমাকে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে বাংলাদেশে ফেরত যাবার নির্দেশ দিয়েছে ইউ এস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)।
সামির মাহমুদ স্থানীয় টেলিভিশন এনবিসিকে বলেন, আমার মা তো কোন অপরাধ করেনি।তিনি কোন অপরাধীও নন, তাহলে কেন আমার মাকে এদেশ ছেড়ে যেতে হবে। মাকে ছাড়া আমি কিভাবে বেঁচে থাকবো জানি না। মা-বাবাই আমার সবকিছু। সালমা রেজা সিকান্দার বলেন ‘আমার স্বপ্ন আমার ছেলে।সে লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হবে এজন্যই শত কষ্ট করেও এদেশে পড়ে আছি।সালমার স্বামী আনোয়ার মাহমুদ স্থানীয় একটি একজন রেস্তোরাঁর ম্যানেজার বলে জানা গেছে।
আগামী মঙ্গলবার দুপুরে ডাউন টাউন হার্টফোর্ডের ফেডারেল ভবনের সামনে কানেকটিকাটের প্রবাসী বাংলাদেশিরা একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে। সকল প্রবাসীদের উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য স্থানীয় কমিউনিটির নেতারা বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সালমা রেজা সিকান্দারের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কারাদেশের প্রতিবাদ জানিয়ে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।আপনার একটি স্বাক্ষর বাচাঁতে পারে একটি পরিবারকে।
https://petitions.moveon.org/sign/tell-ice-to-keep-salma?mailing_id=40529&source=s.icn.em.cr&r_by=20566057
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]