
বোষ্টন প্রতিনিধি: প্রতিবছরের ন্যায় এবারো যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালন করেছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। গত শনিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ক্যামব্রিজের অ্যান্ড্রু পিবডি স্কুলের মিলনায়তনে নিউ ইংল্যান্ড ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন কমিটি ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার অব মেডফোর্ড (আইসিসিএম)-এর যৌথ উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।

মাহফিলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও আদর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার অব দিনাজপুরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. সৈয়দ ইরশাদ আহমদ আল বুখারি, যুক্তরাজ্যের বৃষ্টল সেন্ট্রাল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা একরাম উদ্দিন, রিঞ্জ এভেন্যু মসজিদের ইমাম আহসান ওয়ারিস ও স্থানীয় মাওলানা আইয়ুবুর রহমান। মসজিদ কমিটির সদস্য আলী হায়দার মনসুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মাহফিলে বক্তব্য দেন অন্যতম উদ্যোক্তা ও মসজিদ কমিটির সদস্য সৈয়দ নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, দীর্ঘ এক বছর ধরে আপ্রাণ চেষ্টার পর সকলের

সহযোগিতায় গত সপ্তাহে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যে ফিউনারেল হোমসহ মসজিদের নতুন জমি কেনা সম্ভব হয়েছে।লাভ্যাংশ বিহীন বাকি অর্থ পরিশোধ করা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে তিনি সকলে পুনঃসহযোগিতা কামনা করেন।প্রতিবছর বোস্টনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক সহযোগিতায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনকে সফল করায় অন্যতম আয়োজক হুমায়ুন মোর্শেদ উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী ব্যাখ্যা করে মাহফিলে উপস্থিত ইসলামিক চিন্তাবিদ ও বক্তাগন বলেন, ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মানবজাতির শিরোমণি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। পৃথিবীবাসীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল

আউয়াল আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। আইয়ামে জাহেলিয়াতের সেই যুগে মানুষকে আলোর পথ দেখিয়ে ৬৩ বছর বয়সে একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। দিনটি মুসলিম উম্মাহ বিশেষ তাৎপর্যসহকারে পালন করে আসছে।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]