১৪ অক্টোবর ২০২৫

ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে অসাম্প্রদায়িকতায় ফিরল টাইম স্কয়ারের বাঙালি উৎসব

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে অসাম্প্রদায়িকতায় ফিরল টাইম স্কয়ারের বাঙালি উৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রদায়িকতার গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে এসেছে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে বাঙালিদের বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। গত বছর (১৪৩০) বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে রাধাকৃষ্ণ(উলু) ধ্বনি, সুর্য পূজাসহ শিল্পী ও দোয়ার্কি (সহশিল্পী)রা সূর্য পূজা লীলা কীর্তনের আদলে বাংলা গানের আয়োজন করেছিলো। দেশ ও প্রবাসের গুণী ব্যক্তি ও শিল্পীদের সামনেই এসব ঘটলেও কেউ টু-শব্দ করার সাহস পাননি। বিষয়টি ঐসময় বেশ সমালোচিত হলে এবারের (১৪৩১ সালের) বর্ষবরণ উৎসবে এসব ধর্মীয় গোঁড়ামি বাতিল করে অসাম্প্রদায়িকতায় ফিরে আসে টাইম স্কয়ারের বাঙালি উৎসব। গত বছর (২০২৩) ১৪ এপ্রিল সকালে সুর্য ওঠার সাথে সাথেই ফুল দিয়ে তৈরি করা সুর্য নিয়ে টাইমস স্কয়ারে ছুটে যান সনাতন ধর্মাবলম্বী কতিপয় নারী-পুরুষ। প্রথম দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পী ও দোয়ার্কি(সহশিল্পী)রা সূর্য পূজা লীলা কীর্তনের আদলে বাংলা গানের আয়োজন করেন। এ সময় কিছু মহিলা দোয়ার্কি(সহশিল্পী)র মুখে শোনা যায় উলুধ্বনি। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রবাসী মুসলমান সম্প্রদায়ের নেতারা। গত ১৩ এপ্রিল শনিবার দুপুরে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরণের গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। তবে বাংলার লোকগানে হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন প্রখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী মমতাজ। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা। নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস উদ্বোধনের কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি অনুষ্ঠানে আসেননি। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পী ছাড়াও বিভিন্ন দেশীয় নৃত্য শিল্পীরা তাদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেন। বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে দেশাত্ববোধক ও লোকগান। টাইমস স্কয়ারে বাংলা বর্ষবরণের আয়োজন করেন এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড নামের একটি সংগঠন। বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন