১৪ অক্টোবর ২০২৫

ডোমারে কেতকীবাড়ী ইউনিয়নে একটি ব্রীজের জন্য হাজারো মানুষের দূর্ভোগ

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
ডোমারে কেতকীবাড়ী ইউনিয়নে একটি ব্রীজের জন্য হাজারো মানুষের দূর্ভোগ
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে কেতকীবাড়ী ইউনিয়নে একটি ব্রীজের জন্য তিনটি গ্রামের হাজারো মানুষের দূর্ভোগ চরমে। ডোমার উপজেলার ২নং কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ কেতকীবাড়ী শান্তিপাড়া গ্রামে এমন দৃশ্যটি চোখে পড়ে। জানাযায়, ২০০৯ সালে ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রনালয়ের অধিনে ১৮ লক্ষ ৬৬হাজার টাকা ব্যায়ে সেতুটি নির্মান করা হয়। ৪ বছর যেতে না যেতে বন্যায় সেতুটির এক অংশ ভেঙেযায় এবং পাশে মাটি ধসে গিয়ে পথচারীদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে শান্তিনগরা, পাঠান পাড়া, ঠাটারী পাড়া, দালালগঞ্জসহ গ্রায় ৪ গ্রামের হাজারো মানুষ চরম দূর্ভেগের শিকার হতে হয়। বর্ষা শেষে এলাকাবাসী বাঁশ সংগ্রহ করে কোন রকম চলাচলের ব্যবস্থা করে। শান্তি পাড়া থেকে পূর্বে আমবাড়ী বালিকা বিদ্যালয়, পশ্চিমে দালালগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশে রয়েছে কেতকীবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। সেতুটির কারণে এলাকার শিক্ষার্থীরা ঠিক মতো স্কুলে যেতে না পারায় ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার মান। এলাকাবাসী জানান, বাঁশের সাকোটি পারাপারের সময় অনেক পথচারী দূর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। কেতকীবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেনীর ছাত্র নুর আলম জানান, স্কুলে যেতে হলে আমবাড়ী শুকনাপুকুর বাজার অথবা দালালগঞ্জ বাজার দিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুড়ে যেতে হয়। যার কারণে আমাদের পড়া লেখার চরম ক্ষতি সাধন হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া বলেন, গত ৪ বছর ধরে এলাকাবাসী ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আমরা সকলে মিলে প্রতিবারে বাঁশ সংগ্রহ করে সাকো তৈরী করি, কর্তৃপক্ষকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে একাধীক বার অবগত করেও কোন কাজ হচ্ছে না। ইউপি চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম রোমান বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরথেকে ২বার বাঁশদিয়ে পথচারিদের চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। এলাকাবাসীর দূর্ভোগের বিষয়টি এমপি মহোদয়, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে জানিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন