১৩ অক্টোবর ২০২৫

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ‘সুড়ঙ্গ শেষে আলোর রেখা’

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪২ পিএম
গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ‘সুড়ঙ্গ শেষে আলোর রেখা’

বাংলাপ্রেস ডেস্ক:   যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এটিকে তিনি  ‘সুড়ঙ্গ শেষে আলোর রেখা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি এও ইঙ্গিত দিয়েছেন, নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে রাশিয়া এ পরিকল্পনাকে সমর্থন করতে পারে।

 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ভ্যালদাই ডিসকাশন ক্লাবে বক্তব্য রাখার সময় পুতিন বলেন, এটি (গাজা যুদ্ধ) ‘মানব ইতিহাসের আধুনিক কালে এক ভয়াবহ ঘটনা।’

তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, গাজা এখন বিশ্বের বৃহত্তম ‘শিশুদের কবরস্থানের’ একটিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগগুলোর সঙ্গে আরও পরিচিত হচ্ছি, এবং আমার মনে হয় হয়তো সুড়ঙ্গের শেষে কিছুটা আলোর রেখা দেখা যেতে পারে।’

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, পাশ্চাত্যের প্রচলিত একতরফা কূটনীতি, যা ‘সেখানে (গাজা) বসবাসরত জনগণের ইতিহাস, ঐতিহ্য, পরিচয় ও সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে’,  তা কখনোই অঞ্চলে শান্তি আনতে পারবে না।

পুতিন উল্লেখ করেন, রাশিয়া ঐতিহাসিকভাবেই দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেছে—১৯৪৮ ও ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাবনার সময় থেকে। 

 

তিনি বলেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা যদি সেই চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের দিকে নিয়ে যায়, তবে তা সমর্থনের যোগ্য হতে পারে।

তিনি আরও জানান, এখনও তিনি পুরো প্রস্তাবটি বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করেননি। তবে এটিতে গাজায় একটি আন্তর্জাতিক শাসনকাঠামো গঠনের কথা বলা হয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকতে পারেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। পুতিন তাকে অভিজ্ঞ ও ‘ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম’ ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তিনি প্রশ্ন তোলেন—এই আন্তর্জাতিক প্রশাসনের মেয়াদ কতদিন হবে, কীভাবে ক্ষমতা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং নিরাপত্তা কীভাবে পরিচালিত হবে।

তার ভাষায় ‘আমার মতে, সবকিছু প্রেসিডেন্ট আব্বাস এবং বর্তমান ফিলিস্তিনি প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা উচিত।’

‘নিরাপত্তা বজায় রাখতে স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গড়ে তোলা যেতে পারে।’

পুতিন ট্রাম্পের পরিকল্পনার সেসব দফারও সমর্থন জানান, যেখানে  গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া এবং ইসরাইলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, কতজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং কখন তা করা হবে—এগুলো পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করা জরুরি। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনিদের, আঞ্চলিক দেশগুলোর এবং হামাসের মতামত যেকোনো চুক্তিতে প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইলের  অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয় এবং এটাই নির্ধারণ করবে পরিকল্পনাটি সফল হতে পারবে কি না।’

বিপি>টিডি

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন