
ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ করে গাজার পথে ফ্লোটিলার আরও ১১ জাহাজ


বাংলাপ্রেস ডেস্ক: গাজার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া মানবিক সহায়তাবাহী ফ্লোটিলা আটকানোয় বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নতুনভাবে নৌবহরের ১১টি জাহাজ মিসরের মর্সা মাতরুহের উত্তর উপকূলে পৌঁছেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল সূত্রে জানা গেছে, জাহাজগুলো গাজা স্ট্রিপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যাতে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ চ্যালেঞ্জ করা যায়।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থার মার্কিন সামাজিক মাধ্যম এক্সে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গ্লোবাল আন্দোলন চলতেই থাকবে। প্রতিটি বন্দর, প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি চত্বরে।’
এছাড়াও তারা যোগ করেছে, ‘থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস ফ্লোটিলা’-র ১১টি জাহাজ এখন মর্সা মাতরুহের উত্তরে পৌঁছেছে, গাজার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
গত বৃহস্পতিবার ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) জানিয়েছিল, আরও ১১টি জাহাজ গাজা স্ট্রিপের দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
কোয়ালিশনের মতে, এই জাহাজগুলোতে প্রায় ১০০ জন ব্যক্তি রয়েছেন, ক্রেটের উপকূলে।
এফএফসি, যা ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত, গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য বহু মিশন চালিয়ে আসছে।
এর দুই দিন আগে ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজার দিকে যাত্রা করা ৪০টির বেশি জাহাজে আক্রমণ চালায়, জাহাজগুলো জব্দ করে এবং ভেতরে থাকা ৪৫০-এর বেশি কর্মীকে আটক করে। ইসরায়েল পূর্বেও গাজা-মুখী জাহাজে আক্রমণ করেছে, তাদের মালামাল জব্দ করেছে এবং কর্মীদের বিতাড়িত করেছে।
প্রায় ১৮ বছর ধরে ইসরায়েল গাজার ওপর অবরোধ জারি রেখেছে। ২০২৫ সালের মার্চে সীমান্ত বন্ধ, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে অবরোধ আরও শক্ত করেছে, যার ফলে গাজার জনগণ খাদ্যাভাবের মুখোমুখি।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৬৬ হাজার ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থা বারবার সতর্ক করেছে যে, অবরুদ্ধ এলাকা বসবাসের জন্য অযোগ্য হয়ে উঠছে, যেখানে দুর্ভিক্ষ ও রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে।
বিপি/কেজে
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন


সামরিক সংঘর্ষের পর আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

ভুটান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কিনলে দুই দেশেরই উপকার: হামু দর্জি

মিশরে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গাজা শান্তিচুক্তিতে সই করলেন ট্রাম্প

