
হার্টফোর্ড (কানেকটিকাট) প্রতিনিধি: বাংলা নববর্ষ ১৪২৬-কে বরণের লক্ষ্যে ২৬ পদের রকমারি ভর্তা ও ভাজা ইলিশে অতিথিদের আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করলো যুক্তরাষ্ট্র্বের ম্যানচেষ্টার প্রবাসীরা।স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মি রেখা রোজারিও গত শনিবার কানেকটিকাটের ম্যানচেষ্টারে নিজ বাসভবনে ২৬ পদের রকমারি ভর্তা ও ভাজা ইলিশে অতিথিদের রাতের খাবারে আপ্যায়ন করে আলোচিত হয়েছেন নিজ শহরে।

রেখা রোজারিও কানেকটিকাটের ম্যানচেষ্টার প্রবাসী ও একজন সাংস্কৃতিক কর্মি। তিনি গত কয়েক বছর ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থানীয় ম্যানচেষ্টার শহরে প্রবাসীদের নিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতাই গত শনিবার দেড় শতাধিক প্রবাসীদের নিয়ে নিজ বাড়িতেই বৈশাখী আড্ডার আয়োজন করেন। তার আহবানে সাড়া দিয়ে

বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ বর্ষবরণ পালন করতে সেখানে উপস্থিত হন। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে আড্ডা, নাচ ও গান। সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফ্রান্সিস সরকার, লিটন গ্রেগরী, রাশিদা আখন্দ লাকী, কৌশলী ইমা ও রেখা রোজারিও। শিল্পীদের তবলায় সঙ্গত করেন মার্ক হাওলাদার রনি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নৃত্য পরিবেশন করেন রোকাইয়া রেখা।

আগামী ১৪২৭ সালে নববর্ষ উদযাপনেও থাকবে ২৭ পদের রকমারি ভর্তা ও ভাজা ইলিশে রাতের খাবার।
গত রবিবার কানেকটিকাটের ম্যানচেষ্টার প্রবাসী বাংলাদেশি মহিলারাও পালন করেছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬। অবিরাম বৃষ্টির কারণে নির্দিষ্ট মাঠের পরিবর্তে বাড়িতেই উদযাপন করা হয় বাংলা নববর্ষ ১৪২৬। রকমারি ভর্তা আর ঐতিহ্যবাহী খাবারে আপ্যায়ন করা হয় অতিথিদের।

এদিকে, গত ৩ মাস আগে ঘোষণা করা ব্যক্তিগত উদ্যোগে নববর্ষ বরণকে প্রতিহত করতে প্রতিহিংসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোশিয়েশন অব কানেকটিকাট (বাক)।কানেকটিকাটে প্রবাসীদের প্রিয় এ সংগঠনে জড়িত কতিপয় স্বার্থান্বেসীদের কুপরামর্শে একই দিনে আরেকটি বৈশাখী মেলার আয়োজন করে গত ১০ এপ্রিল তা

ঘোষনা করেন। বাক-এর এ ধরণের হীনমন্য কর্মকান্ড দেখে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন।ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়লেও বাক-এর নেতৃত্ব প্রদানকারী

কতিপয় নিলর্জ্জ ব্যক্তিদের নানা কূ-কর্মে প্রবাসীদের প্রিয় সংগঠন বাক যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তেমনিভাবে সুনামও বিনষ্ট হচ্ছে বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেন।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]