১৪ অক্টোবর ২০২৫

কানেকটিকাটে বাক নির্বাচন: প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গেলেন হিমু

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
কানেকটিকাটে বাক নির্বাচন: প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গেলেন হিমু
হার্টফোর্ড প্রতিনিধি: আগামী ১৩ অক্টোবর শনিবার অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব কানেকটিকাট (বাক)-এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন আনোয়ার হোসেন হিমু (স্বতন্ত্র)। বাংলাদেশি কমিউনিটির বৃহত্তর স্বার্থে এবং নেতৃত্বের পরিবর্তনের প্রত্যয় নিয়ে গত রবিবার রাতে স্থানীয় ম্যানচেষ্টারের একটি রেস্তোঁরায় এক সমঝোতা বৈঠকে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে তিনি অপর সভাপতি প্রার্থী সাদ চৌধুরী বাবু (স্বতন্ত্র)’র পক্ষে কাজ করবেন বলে বৈঠকের একটি সূত্রে জানা গেছে। আনোয়ার হোসেন হিমু (স্বতন্ত্র) সভাপতি প্রার্থী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাড়াঁনোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে উক্ত বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা বলেন, বাক-এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে এই সংকটময় মুহুর্তে আনোয়ার হোসেন হিমু যে উদার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা কানেকটিকাটবাসী চিরদিন মনে রাখবে। এ ব্যাপারে সভাপতি প্রার্থী সাদ চৌধুরী বাবু বলেন, আমাদের দু’জনের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি দেখা দিয়েছিল সেটার অবসান হয়েছে। আজ থেকে আমরা দু’জনেই একসঙ্গে কাজ করবো। এখন থেকে আনোয়ার হোসেন হিমুই হবে আমার ক্যাম্পেইন ম্যানেজার। এছাড়া আমি বাক-এর সভাপতি নির্বাচিত হলে আমার উপদেষ্টা হিসেবে তাকে কাজ করারা সুযোগ দিবো। গত ১ সেপ্টেম্বর বাক-এর ১৭টি পদের জন্য ১৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে।যাচাই বাছাই শেষে সভাপতি পদে ৩ জনের মনোনয়োনপত্র চূড়ান্ত করা হয়। বাকি ১৬টি পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষনা করেছেন কমিশন নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে যারা লড়ছেন তারা হলেন ২০১৭ সালের বাক–এর বিতর্কিত ও বাতিল হওয়া নির্বাচনের হেলাল-আজম প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, কামাল-হুমায়ুন প্যানেলের সাংগঠনিক সম্পাদক সভাপতি প্রার্থী সাদ চৌধুরী বাবু ও বাক-এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন হিমু মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবার কথা ছিল কিন্তু হিমু নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেবার পর থেকে এখন থেকে বাবু-হেলাল দু’জনের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব কানেকটিকাট (বাক)-এ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে নির্বাচন আশা করেছিলেন তা কানেকটিকাটের প্রবাসীদের স্বপ্নই রয়ে গেলো। কতিপয় দলছুট ও পদালোভীদের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হলেন প্রবাসীরা।যাদের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারনে বাক তথা বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বিভক্তি ও দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল সেইসব ব্যক্তিরাই রাতের অন্ধকারে হাত মিলিয়েছেন।এ ঘটনায় প্রবাসী ভোটাররা ধিক্কার জানাচ্ছেন সভাপতি প্রার্থী ময়নুল হক চৌধুরী হেলালকে। কারন তিনি তা্র পূর্ব নির্ধারিত প্যানেলের অনেকের সাথে প্রতারণা করে তাদেরকে না জানিয়ে তারই ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বি নুরুল আলম নুরুর সঙ্গে সমঝোতা করে নতুন প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে অনেকেই তাকে নিলর্জ্ব ও প্রতারক বলে গালি দেন। জানা যায় গত বছরের নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার প্রতিপক্ষদের সাথে রাতের আধারে হাত মিলিয়ে দু’টি প্যানেলের বদলে একটি প্যানেল তৈরি করে গত দশ বছরের ন্যায় আবারো বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব কানেকটিকাট (বাক) ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছেন। জানা গেছে, ময়নুল হক চৌধুরী হেলালকে ঘুড়ি বানিয়ে লাটাই ঘোরাচ্ছেন বাক-এর সাবেক সভাপতি আশফাকুল তরফদার, সাবেক কোষাধ্যক্ষ তারেক আম্বিয়া, সাবেক নির্বাহী সদস্য আব্দুল মান্নান চৌধুরী, জিলু আহমেদ জিলুসহ আরো অনেকেই। তবে কানেকটিকাটের অধিকাংশ প্রবাসীরাই চায় পরিবর্তন। সেই লক্ষ্যে এবারে নির্বাচনে সভাপতি পদে দু’জন নতুন মুখ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।কয়েকদিন পরই স্থানীয় ভোটারদের প্রতিক্রিয়া জানা যাবে। তবে কমিউনিটির সেই ‘ধান্দাবাজ’রা আবারো ক্ষমতায় এলে প্রবাসীরা তাদেরকে কোন প্রকার সহযোগিতা করবে না। কারন বাক-এর পদ লালায়িতরা তাদের নিজেদের স্বার্থে প্রবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নানাভাবে হয়রানীসহ আদালতেও হাজির করেছিলেন বলে অনেকেই এখনো ক্ষুব্ধ।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন