
হার্টফোর্ড প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব কানেকটিকাট (বাক)-এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। শুধুমাত্র সভাপতি পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।সিলেটি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল এবং ঢাকাইয়া সাদ চৌধুরী বাবু (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এবারে চারটি কেন্দ্রে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি ভোটার ভোট দেবেন। কেন্দ্রগুলো হলো ষ্টামফোর্ড, ব্রিজপোর্ট, ওয়ালিংফোর্ড ও ম্যানচেস্টার। পুরাতন ভোটার তালিকা থেকে ১৩টি দ্বৈত ভোট বাদ দিয়ে ৪২৯ জনকে নতুন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ৬শ ৬২ জন। গত ২০১৭ সালের নির্বাচনে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭শ ৭০ জন। গত ২০১১ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে তালিকাভুক্ত ভোটার সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩শ জন। বর্তমানে ভোটার বেড়েছে তিনগুনেরো বেশি।
সভাপতি পদপ্রার্থী ময়নুল হক চৌধুরী হেলালের দেশের বাড়ি সিলেট জেলার দক্ষিন সুরমার জালালপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও গত ১১ বছর ধরে কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বাস করছেন। সাম্পতি তিনি পার্শ্ববর্তী শহর গ্লাসটোনবুরিতে বাসা বদল করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রস্থ জালালাবাদ অ্যাশোসিয়েশনের সাবেক সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কানেকটিকাট অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। বাক-এর কার্যনির্বাহী কমিটিতে আছেন কয়েক বছর ধরে। শুধুমাত্র একটি মেয়াদে সভাপতি হবার জন্য হেলাল-আজিজ পরিষদে তিনি এবারে বাক-এর সভাপতি পদে লড়ছেন।গত বছর ২০১৭ সালেও তিনি বাক-এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্ত সেই নির্বাচন নিয়ে দেখা দিলে তা বতিল হয়ে যায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও ২ সন্তানের জনক।
অপর সভাপতি পদপ্রার্থী সাদ চৌধুরী বাবু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন। তার দেশের বাড়ি ঢাকার নারিন্দায়। ১৯৮৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। সেই থেকেই কানেকটিকাটের ম্যানচেস্টারেই বাস করছেন। সৎ ও ভদ্র স্বভাবের হওয়ায় কানেকটিকাটের অনেক মানুষের কাছে সাদ চৌধুরী বাবু বেশ জনপ্রিয়।বাক-এর সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে জড়িত থাকলে কখনো সামনের কাতারে আসতে চাননি। এছাড়াও তিনি কানেকটিকাটে ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির একজন কর্মকর্তা।এবারেই প্রথমবারের মত তিনি বাক-এর সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন।ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও ১ সন্তানের জনক।
বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব কানেকটিকাট (বাক)-এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে গত ১ সেপ্টেম্বর বাক-এর ১৭টি পদের জন্য ১৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। সভাপতি পদে ৩ জনের মনোনয়োনপত্র জমা পড়ে। বাকি ১৬টি পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষনা করেছেন কমিশন নির্বাচন।মাত্র ৩টি মনোনয়োনপত্র যাচাই বাছাই করতে নির্বাচন কমিশন দীর্ঘ ২৩ দিন সময় নেওয়ার ফলে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীরা খুব অল্প সময় পাচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে যারা লড়ছেন তারা হলেন ২০১৭ সালের বাক–এর বিতর্কিত ও বাতিল হওয়া নির্বাচনের হেলাল-আজম প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, কামাল-হুমায়ুন প্যানেলের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী সাদ চৌধুরী বাবু (স্বতন্ত্র) ও বাক-এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন হিমু (স্বতন্ত্র)। এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন হিমু নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে হেলাল-বাবুর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। বাকি ১৬টি পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় এসব পদে নির্বাচন হচ্ছে না।
এদিকে চারটি কেন্দ্রের মধ্যে স্টামফোর্ড ও ব্রিজপোর্টে নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রস্থ জালালাবাদ অ্যাশোসিয়েশনের সাবেক সাধারন সম্পাদক ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল। এ দু’টি কেন্দ্রে হেলালের জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
অপর দিকে ওয়ালিংফোর্ড ও ম্যানচেস্টারে নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ চৌধুরী বাবু। এ দু’টি কেন্দ্রে বাবুর জেতার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি বলে ভোটাররা মতামতে জানা গেছে। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি অনেকটা কমবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]