১৪ অক্টোবর ২০২৫

কানেকটিকাটে বাংলাদেশ সোসাইটির বিজয় দিবস উদযাপন

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
কানেকটিকাটে বাংলাদেশ সোসাইটির বিজয় দিবস উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক, হার্টফোর্ড:যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের মিডলটাউনে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা উদযাপন করেছে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস।গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার মিডলটাউনে বাংলাদেশ সোসাইটি অব কানেকটিকাটের কার্যালয়ে আয়োজিত বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব মেম্বার চেয়ারম্যান মীর সাব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে এবং মীর আজমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা। সভায় প্রধান অতিথি সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, তিনি ১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চ রাতেই চট্টগ্রামে কার্যত বিদ্রোহ শুরু করেছিলেন। তাঁর আদেশ পেয়েই সীমান্ত ফাঁড়িতে বাঙালি সৈন্যরা অবাঙালি সিপাহিদের নিরস্ত্র ও নিষ্ক্রিয় করে চট্টগ্রামে এসে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগদানের জন্যে প্রস্তুত হয়। তিনি আরো বলেন, তাঁর অধীনে ন্যস্ত সৈনিকরা এম. ভি. সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল চৌধুরী ও মেজর জিয়াউর রহমান সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ২০ বালুচ রেজিমেন্ট-এর সৈন্যরা চট্টগ্রামে অবস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার-এর সহস্রাধিক বাঙালি সৈনিক ও অফিসারকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মেজর জিয়াউর রহমানের অধীনে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর বাঙালি অফিসার ও সৈনিকরা ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগ করে কালুরঘাট ব্রিজের দিকে অবস্থান নেয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে চট্টগ্রামের অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আগত তাঁর অধীনস্থ ইপিআর সৈনিকদের মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে ক্যাপ্টেন রফিকের বাহিনীর সাথে যোগদানে বাধা দেন এবং ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের সৈনিকদের সাথে কালুরঘাট ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নিতে বাধ্য করেন। এ কারণে তিনি সেনাবলের অভাবে চট্টগ্রামে যথাযথ দখল বজায় রাখতে ব্যর্থ হন এবং এক পর্যায়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রচুর ক্ষতি সাধন করে পশ্চাদপসরণ করেন। পরবর্তীতে তিনি তাঁর বাহিনী নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ করেন এবং ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে তাঁর হেডকোয়ার্টার সীমান্তের ওপারে হরিণায় স্থাপন করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে এখান থেকেই তিনি ১ নং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বে ন্যস্ত হন।১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তিনি পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। সামরিক শাসক এরশাদ সরকারের পতন হলে ১৯৯০ সালে দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারে তিনি মন্ত্রী পদমর্যদায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-৫ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজিগঞ্জ শাহরাস্তি এলাকা থেকে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ ও ডেভিড স্বপন রোজারিও প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সহযগিতা করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শাহাজ ইসলাম, সহ-সভাপতি শাফিউল আলম,হালিম আকবর, মীর আজম, উপদেষ্টা মোল্লা বাহাউদ্দিন পিয়াল ও মার্ক হাওলাদার রনি প্রমুখ। বিপি।সিএস
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন