১৪ অক্টোবর ২০২৫

কানেকটিকাটের ম্যানচেস্টারে সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব আজ

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
কানেকটিকাটের ম্যানচেস্টারে সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব আজ
হার্টফোর্ড প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ম্যানচেস্টারে এই প্রথমবারের মতো খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের কাছে পরম আরাধ্য ব্যক্তিত্ব সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত ম্যানচেষ্টারে সেন্ট ব্রিজেট চার্চের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় খ্রীষ্টভক্ত মীরা ও সুধীর পালমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং স্থানীয় খ্রীষ্টভক্তদের আয়োজনে মহান সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায় সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের পদতলে সমবেত ভাবে প্রার্থনা নিবেদন করা হবে। মহান সাধু আন্তনীর মহিমা প্রচারের জন্য তীর্থ উৎসবে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন স্থানীয় বেঙ্গলি খ্রীষ্টান কমিউনিটির নেতা ও সাংস্কৃতিককর্মি মার্ক হাওলাদার রনি। তিনি জানান, ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে আমরা সকলেই প্রার্থনা করবো। আমরা বিশ্বাস করি সাধু আন্তনীর মধ্যস্ততায় প্রাথর্না করলে আমাদের মনকামনা পুরণ হবে, অসুস্থ ব্যাক্তি সুস্থতা লাভ করবে। সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসবের সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। আশা করছি কানেকটিকাটের খ্রীষ্টভক্তরা সকলেই এ তীর্থোৎসবে যোগ দেবেন। মানুষের জিহ্বা একটি বিশেষ অংগ তাঁর চলমান জীবদ্দশায়। পাঁচটি ইন্দ্রীয়ের মধ্যে জিহ্বা অন্যতম। পাঁচটি ইন্দ্রীয় চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, দন্ত সব মানুষের আছে। অনেকের মধ্যে সব ইন্দ্রীয় সক্রিয় আবার অনেকের মধ্যে সব ইন্দ্রীয় সচল নয়। ঈশ্বর মানুষকে পরিপূর্ণ করেছেন এসকল ইন্দ্রীয়কে যেন সুন্দরভাবে মানুষ ব্যবহার করে। আমরা মহান সাধু আন্তনীর জীবনে দেখতে পাই তিনি পিতা ঈশ্বরের দেয়া সদ্গুণ মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করেছেন। তিনি মাত্র ১৭ বৎসর বয়স থেকে ঈশ্বরের কাজে নিবেদিত হয়েছিলেন এবং আমৃত্যু ঈশ্বরের রাজ্য বিস্তারে কাজ করেছেন। তিনি প্রায় একযুগ ধরে যারা ঈশ্বরের প্রতি, তাঁর একমাত্র পুত্র প্রভু যীশু খ্রিষ্টের প্রতি এবং মা মারীয়ার প্রতি যাদের বিশ্বাস ছিল না তাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় করেছেন বক্তিমা দিয়ে। তিনি তাঁর জিহ্বা ব্যবহার করে খ্রীষ্ট ধর্মের প্রচার করেছেন। তাঁর মনমুগ্ধকর কথা শুনার জন্য দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসতো তাঁর কাছে। মহান সাধু আন্তনী প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মত অনেক আশ্চর্য কাজ করেছেন যা তার জীবদ্দশায় তাঁকে করেছে মহান। তাঁর জীবনের অনেক ঘটনা আমরা বিভিন্ন পুস্তিকা পড়ে জানতে পেরেছি এবং আজও কোন দ্রব্য হারিয়ে গেলে সাধু আন্তনীর কাছে প্রার্থনা করলে তা পাওয়া যায় বলে ভক্তদের বিশ্বাস। তার মৃত্যুর এতো বৎসর পরও সাধু আন্তনীর নিকট প্রার্থনা করলে ফল পাওয়া যায়। সাধু আন্তনী অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী আধ্যাতিক পুরুষ ছিলেন।তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্তকে ছুঁয়ে দিলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠত। সাধু আন্তনী ১১৯৫ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপে (বর্তমান পর্তুগাল) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর কর্মজীবন কাটে ইতালির পাদুয়ায়। সাধুর অনুসারীরা বিশ্বাস করেন তাঁর সঙ্গে শিশু যিশুর সাক্ষাৎ ঘটেছিল। এর মধ্য দিয়ে সাধু আন্তনী অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করেন। তার অনুসারীদের মতে, সাধু আন্তনীর নাম মুখে নিলে অন্তরে ভক্তিভাবের জন্ম নেয় এবং হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনীর কাছে প্রার্থনা করলে সুফল পাওয়া যায়। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে ক্ষণজন্মা এ মহাপুরুষ ইহলোক ত্যাগ করেন। বিপি।সিএস
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন