
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অটোমেশনে হারিয়ে যেতে পারে প্রায় ১০ কোটি চাকরি: সিনেট প্রতিবেদন


ইমা এলিস: সোমবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী এক দশকের মধ্যে বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অটোমেশন প্রায় ১০ কোটি চাকরি বিলুপ্ত করতে পারে।
সিনেটের হেলথ, এডুকেশন, লেবার অ্যান্ড পেনশনস (হেল্প) কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যদের পরিচালিত এই প্রতিবেদনের নেতৃত্বে আছেন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স (আই-ভারমন্ট)। প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও শ্রমবাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অটোমেশনের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
হেল্প কমিটির র্যাংকিং সদস্য হিসেবে স্যান্ডার্স দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছেন যে, এআই ও অটোমেশনের ব্যাপক ব্যবহার শ্রমজীবী মানুষের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
তাদের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে কমিটির স্টাফরা ওপেন এআই-এর চাট জিপিটি-কে বিভিন্ন শিল্পখাতে এআই ও অটোমেশনের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে বলেন।
চাট জিপিটি-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০টি শ্রমক্ষেত্রের মধ্যে ১৫টি খাতের অর্ধেকেরও বেশি কর্মসংস্থান আগামী এক দশকে এআই ও অটোমেশনের কারণে বিলুপ্ত হতে পারে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ফাস্টফুড ও কাউন্টার কর্মীরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১০ বছরে ৩০ লাখেরও বেশি ফাস্টফুড কর্মী চাকরি হারাতে পারেন, যা ওই খাতের মোট কর্মসংস্থানের ৮৯ শতাংশ।
আরও যেসব খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধি, শ্রমিক ও পণ্য পরিবহনকর্মী, গুদাম ও উপকরণ স্থানান্তরকারী, এবং সচিব ও নির্বাহী সহকারী (আইনি, চিকিৎসা বা নির্বাহী পদ বাদে)। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দশকে এসব খাতে যথাক্রমে ৮৩%, ৮১% এবং ৮০% কর্মসংস্থান হারিয়ে যেতে পারে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, এআই ও অটোমেশনের যুগে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য নীতিগত সংস্কার প্রয়োজন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই ও অটোমেশনের প্রভাব “নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।”
এর অংশ হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে—
মানবিক ৩২ ঘণ্টার মানসম্মত সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা, ওভারটাইম ও বিরতির সুরক্ষা বাড়ানো, ন্যূনতম ঘণ্টাপ্রতি মজুরি ১৭ ডলার নির্ধারণ, এআই বা অটোমেশন ব্যবহারকারী করপোরেশনের জন্য করফাঁকির সুযোগ বিলোপ এবং শ্রমিকদের কোম্পানির অংশীদারিত্ব দেওয়া বাধ্যতামূলক করা।
সোমবার প্রকাশিত ফক্স নিউজে লেখা এক নিবন্ধে বার্নি স্যান্ডার্স প্রতিবেদনের ফলাফল সমর্থন করে বলেন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অতি বৃদ্ধি মানুষকে 'অমানবিক' করে তুলতে পারে।
তিনি লেখেন, আমাদের শুধু আরও ‘কার্যকর’ সমাজের প্রয়োজন নয়। আমাদের এমন এক বিশ্ব দরকার যেখানে মানুষ আরও সুস্থ, সুখী এবং অর্থবহ জীবনযাপন করতে পারে।
বিপি/সিএস
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন


ভুটান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কিনলে দুই দেশেরই উপকার: হামু দর্জি

মিশরে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গাজা শান্তিচুক্তিতে সই করলেন ট্রাম্প


নিউ ইয়র্কে কোভিড সহায়তার ৮ লাখ ডলার আত্মসাত, দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
