১৪ অক্টোবর ২০২৫

মার্কিন সাহসী নারীর পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি রাজিয়া

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
মার্কিন সাহসী নারীর পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি রাজিয়া

বাংলাপ্রেস, ঢাকা : বাংলাদেশি রাজিয়া সুলতানাসহ বিভিন্ন দেশের ১০ নারীকে ‘উইমেন অব কারেজ’ সম্মাননা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

১৯৭৩ সালে বার্মার মোঙডোতে এক রোহিঙ্গা পরিবারে জন্ম নেওয়া রাজিয়া সুলতানা দেশত্যাগের পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নেন। তিনি একজন আইনজীবী, শিক্ষক ও মানবাধিকার সংগঠক।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে আয়োজিত ‘ত্রয়োদশ বার্ষিক ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ’ অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল রিচার্ড পম্পেয়ো।

এ সময় বিশ্বশান্তি, মানবতা, ন্যায়বিচার, লিঙ্গ সমতা এবং নারী ক্ষমতায়নে অসাধারণ অবদানের জন্যে সম্মাননাপ্রাপ্তদের ধন্যবাদ জানান ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।

তিনি বলেন, “সাহসী বলতে বুঝানো হয়েছে যারা পরিবর্তনের জন্য সত্যিকার অর্থে কাজ করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, সামাজিক বঞ্চনা উপেক্ষা করে। যারা কাজের পরিবর্তে শুধু বক্তৃতা করেন তাদেরকে নয়। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে মানবতার জন্য যারা কাজ করছেন তাদেরকেই আজ সম্মানিত করা হলো অন্যদের উৎসাহিত করার অভিপ্রায়ে।”

সম্মাননা পাওয়া রাজিয়া সুলতানা ২০১৪ সাল থেকে রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও বালিকাদের নিয়ে কাজ করছেন। নির্যাতিতা নারীদের পুনর্বাসন এবং মানসিক নির্ভরতা দেওয়ার জন্য তিনি সক্রিয় রয়েছেন। নারী-শিশুদের লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প তৈরি করেছেন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষণের শিকারদের বর্ণনার আলোকে রাজিয়া প্রকাশ করেছেন দুটি বই। এর একটির নাম ‘উইটনেস টু হরোর’ এবং অপরটি ‘র‌্যাপ বাই কমান্ড’। ‘ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন’ নামক একটি সংগঠনের সমন্বয়কারি রাজিয়া সুলতানা। এই সংগঠনের নেতৃত্বে সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতো নেতা থাকলে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের কেউই বিতাড়িত করতে পারতো না। বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাঙালিরা আজ স্বাধীন একটি ভূখণ্ড পেয়েছেন।”

‘উইমেন অব কারেজ’ সম্মাননা পাওয়া বাকিরা হলেন- মিয়ানমারের ন্যেও কেনিয়াউ পাউ, ডিজবিটির মৌমিনা হোসেইন দারার, মিশরের মামা ম্যাগি, জর্দানের কর্নেল খালিদা খালাফ হান্নান আল তাওয়াল, আয়ারল্যান্ডের ওরলা ট্যাসি, মন্টেনিগরোর ওলিভারা লাকি, পেরুর ফ্লোর দ্য মারিয়া ভেগা জাপাটা, শ্রীলঙ্কার মারিনি ডি মারিয়া লিভেরা ও তাঞ্জানিয়ার এ্যানা আলোইস হেঙ্গা।

২০০৭ সালের মার্চে চালুর পর থেকে এ সম্মাননা পেয়েছেন ৬৫ দেশের ১২০ নারী। নিজ নিজ দেশের মার্কিন দূতাবাস থেকে একজন সাহসী নারীর মনোনয়ন দেওয়া হয়। চূড়ান্ত তালিকা করেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন