১৪ অক্টোবর ২০২৫

নিউ ইয়র্কে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অব্যবস্থাপনার দায় স্বীকার কর্তৃপক্ষের

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
নিউ ইয়র্কে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অব্যবস্থাপনার দায় স্বীকার কর্তৃপক্ষের
  নিজস্ব প্রতিবেদক: নিউ ইয়র্কে উপমহাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শেষ শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের এ চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হয় রোববার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। দুই দিনের এ উৎসবে দর্শক সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে আয়োজকদের। উৎসব চলাকালীন নানা অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে নিউ ইয়র্কের জ্যমাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক, নায়িকা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা একসঙ্গে বসে বিভিন্ন ছবি উপভোগ করেন। দুই দিনের এ উৎসবে বিনামূল্যে বাংলাদেশ ও ভারতের ৩৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছাড়াও ছিল নাচ-গান ও আলোচনা সভা। দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেন সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল, ইউএসএ নামের একটি সংগঠন। এ উৎসবে চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ ছাড়াও চঞ্চল চৌধুরী, বাঁধন, জয়, ভারতের ঋতুপর্ণা সেন, নানজিবা খান ও রেশমি মিত্রসহ বেশ কিছু চিত্রনায়ক, নায়িকা ও পরিচালকসহ সিনেমাপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের পাবনা জেলার মেয়ে সুচিত্রা সেনের বাংলা চলচ্চিত্রের অবদানকে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিতে তাঁর ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। বাঙালি সংস্কৃতি এবং চলচ্চিত্রের জন্য সুচিত্রা সেনের অবদানকে নতুন প্রজন্মের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এ আয়োজনের মুল উদ্দেশ্য। ভারত ও বাংলাদেশেসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৪০৯টি ছবি অনুষ্ঠানে প্রদর্শনের জন্য জমা পড়লেও তার মধ্যে থেকে বিচারকমণ্ডলীর মাধ্যমে ৩৯টি ছবি প্রদর্শনের জন্য বাছাই করেন। এ উৎসবে ছিল না কোন প্রবেশ মুল্য। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিল নানা অব্যবস্থাপনা। নির্দিষ্ট সময়ে অনেক অনুষ্ঠানই আরম্ভ করতে পারেন নাই। প্রচুর সংখ্যক মানুষ মিলনায়তনে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে গেছেন। সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আহবায়ক গোপাল সান্যাল ও অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হাসানুজ্জামান সাকী সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, অনুষ্ঠান স্থলে ৫০০ মানুষ উপচে পড়েছিল। কিন্তু বাইরে আরও অন্তত হাজার খানেক মানুষ ফিরে গেছেন। যারা অনুষ্ঠান দেখতে পারেননি তাদের কাছে দু:খ প্রকাশসহ ক্ষমা চেয়েছেন সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন অনুষ্ঠানে যেভাবে রুচিবান মানুষেরা এসেছেন, তাতে আগামীতে আরও বড় ভেন্যু নেয়ার বিষয়টি এখন থেকেই ভাবতে হবে। উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ছিলো সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। ১৯৩১ সালের এই দিনে পাবনা জেলায় জন্ম নেন তিনি। নয় ভাইবোনের মধ্যে সুচিত্রা ছিলেন পঞ্চম। বাড়ির ছোটরা ডাকতেন রাঙাদি বলে। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন রমা। পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তের সহকারী নীতীশ রায় তা বদলে রাখেন সুচিত্রা। কিন্তু পাবনার মহাকালী পাঠশালায় খাতায় কলমে তাঁর নাম ছিল কৃষ্ণা দাশগুপ্ত। মহাকালী পাঠশালায় পড়ালেখা শেষ করে সুচিত্রা সেন স্থানীয় পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া সুচিত্রা সেন ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের ক’মাস আগে বাবা করুণাময় পাবনার বাড়ি-ঘর, চাকরি সবকিছু ফেলে সপরিবারে ভারত চলে যান। বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন