নিজস্ব প্রতিবেদক: চরম অর্থ সংকটে ভুগছেন প্রথমবারের মতো নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ডে প্যারেডের আয়োজকরা। গত ১ মাস ধরে হন্যে হয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি কোন গ্র্যান্ড মার্শাল। ৫০ হাজার ডলারের এ পদটিকে নিলামে তোলা হয়েছিল। কিন্তু সাড়া মেলেনি। অবশেষে গ্র্যান্ড মার্শাল ছাড়াই আজ রোববার (২৬ মে) নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ ডে প্যারেড।
বাংলাদেশ ডে প্যারেডের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আকিকুর রহমান ফারুক অভিযোগ করে বলেন, এ পর্যন্ত যে পরিমাণ অর্থ আদায় করা হয়েছে গত বুধবার ২২ মে স্মার্ট টেক-এ অনুষ্ঠিত সভায় তার সঠিক হিসাব দিতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রস্থ বিশ্ব মানবাধিকার উন্নয়ন সংস্থার প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ ডে প্যারেডের চেয়ারপারসন শাহ শহিদুল হক সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের সাথে সংশ্লিষ্টরা দেশ ও প্রবাসীদের জন্য নয়, সবাই নিজেদের স্বার্থেই কাজ করছেন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ও সাধারন সম্পাদক প্রায় দিন হাজিরা দেওয়ার মত কাজ করছেন। তারা প্রতিদিন নিজেদের পারিশ্রমিক ও পকেট খরচ বাবদ ২'শ ডলার করে খরচ দেখিয়েছেন।
তাদের দেওয়া হিসাব মতে ১৪টি সামাজিক সংগঠন অংশ গ্রহণের ২'শ ডলার করে ফি জমা দিয়েছেন। আহবায়ক দিয়েছেন ১৯ হাজার ডলার, অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে আরও প্রায় ১৫ হাজার ডলার আদায় করা হয়েছে, কিন্তু হিসাব চাওয়াতে কেউই সঠিক হিসাব দিতে পারেন নাই বলে উল্লেখ করেন ফারুক। এ সময় তারা প্রতিদিন নিজেদের পারিশ্রমিক ও পকেট খরচ বাবদ ২'শ ডলার করে খরচ দেখিয়েছেন।
ফারুক বলেন, এসব বিষয়সহ গ্র্যান্ড মার্শাল প্রসঙ্গে প্রতিবাদ করতে গেলে কেউ কেউ তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে উপস্থিত সবার সামনেই আহবায়ক শাহ নেওয়াজের স্ত্রী রানো নেওয়াজ তার গায়ে হাত তোলেন। কিন্তু কেউই তেমনভাবে কোন প্রতিবাদ করেনি। তাকে অপমানিত করার জন্য তিনি বিচার চেয়েছেন।
বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]