১৪ অক্টোবর ২০২৫

নিউ ইয়র্কে বাড়িতে ঢুকে বাংলাদেশিকে হত্যা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
নিউ ইয়র্কে বাড়িতে ঢুকে বাংলাদেশিকে হত্যা
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: নিউ ইয়র্কের কুইন্সের সাউথ জ্যামাইকা এলাকায় রেজওয়ান কিবরিয়া নামের এক বাংলাদেশিকে তার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে করে। তার হত্যার সঠিক কারণ জানা না গেলেও আর্থিক লেনদেনে বা দেনা-পাওনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। রেজওয়ানের দেশের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সপরিবারে নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন। নিউ ইয়র্ক নগর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনো হত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি। নিজ বাসায় এভাবে রেজওয়ান কিবরিয়ার খুনের ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় তারা শোকাহত। জানা গেছে, সাউথ জ্যামাইকার ১০৩-২৯ ১৭১ স্ট্রিট ঠিকানার বাড়িতে বসবাস করতেন বাংলাদেশি রেজওয়ান কিবরিয়া। তার বয়স প্রায় ৬২ বছর। ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাসায় কলিং বেল টিপতে থাকে। তিনি দরজা খোলামাত্রই গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক রেজওয়ানকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রেজওয়ান কিবরিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল পরীক্ষাগারে রাখা হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে ফারদিন। বাড়িটিতে এখন কোনো লোকজন নেই। সিটি পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছে। তবে বাড়ির আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫/৬ বছর ধরে রেজওয়ান কিবরিয়া বাড়িতে বসবাস করছেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বাড়িই বেশি থাকতেন। বাড়িতে রাত-দিন নানা মানুষের যাওয়া-আসা ছিল, যা অনেকের কাছে ছিল অস্বাভাবিক। এ নিয়ে প্রতিবেশীরা উদ্বিগ্ন থাকলেও কোনো উচ্চ-বাচ্য করেননি। আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, রেজওয়ান কিবরিয়ার সঙ্গে অনেকের আর্থিক লেনদেন ছিল। তিনি অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থও নিয়েছেন, যা পরিশোধ করেননি। আর্থিক লেনদেন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। বিপি/সিএস  
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন