১৩ অক্টোবর ২০২৫

নিউ ইয়র্কে একুশের অনুষ্ঠানে জয় বাংলা শ্লোগান, হট্টগোল

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
নিউ ইয়র্কে একুশের অনুষ্ঠানে জয় বাংলা শ্লোগান, হট্টগোল
  নোমান সাবিত: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদশি সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির সম্মিলিত একুশে উদযাপন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক শ্লোগান দেওয়ায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। ফলে অস্থায়ী শহিদ বেদীতে ফুল দিতে আসা শত শত সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধার সম্মুখিন হন। একুশের ফেব্রুয়ারি রাত ১২.১ মিনিটে নিউ ইয়র্কের উড সাইডের তিব্বতি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সোসাইটির পক্ষ থেকে বার বার কোনো ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য-শ্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা 'জয় বাংলা-একুশের এই দিনে মুজিব তোমায় মনে পড়ে' বলে শ্লোগান দেওয়া হয়। এতে পুরো অনুষ্ঠানস্থলে হট্টগোল শুরু হয়ে যায় । অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিতে আসা শতাধিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক-আঞ্চলিক সংগঠনসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত নতুন প্রজন্মের মধ‍্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এর আগে গত বছর ১৬ ডিসেম্বের যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির অভিষেক ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তুমুল হট্টগোল ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ওইদিন সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের উডসাইডের তিব্বত কমিউনিটি সেন্টারে অভিষেক ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে একজন বক্তার উদ্দেশ্য প্রণোদিত রাজনৈতিক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপিপন্থী নেতা-কর্মীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে। ফলে প্রায় আধাঘন্টা অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র আসার দোহাই দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। জানা যায়, অনুষ্ঠানটি নিয়ম মাফিক চলছিল। ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ তার বক্তব্যে বিদায়ী কমিটির মৃদু সমালোচনা করেন। এরপর সাবেক ও আগামী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান পাল্টা বক্তব্য দিলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এরপর সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম তার বক্তব্যে ৪৭, ৭১, ৯০ এবং পরে ৫ আগস্টের গণ আন্দোলনের কথা তার বক্তব্যে তুলে ধরেন সাবেক সরকার আওয়ামীলীগের কঠোর সমালোচনা করেন। এক পর্যায়ে উপস্থিত আওয়ামীলীগের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাকে ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করতে থাকেন। ফখরুল আলমের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসিব মামুন ও মুজাহিদুল ইসলাম। সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম , মহিউদ্দীন দেওয়ান ও মাহবুব তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। আওয়ামী লোকজন মারমুখি হয়ে উঠলে বিএনপির রিপন, কাজী আজম, জসিম ভুঁইয়া, মোশাররফ হোসেন, সেলিম রেজাসহ অনেকে প্রতিবাদ করতে থাকেন। তারাও আওয়ামী সমর্থকদের দিকে তেড়ে যায়। এ সময় আওয়ামীলীগ ও বিএনপিপন্থী নেতা-কর্মীদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। [বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন