১৪ অক্টোবর ২০২৫

নিউ ইয়র্কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
নিউ ইয়র্কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: নিউ ইয়র্কে দু'দিনব্যাপী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৯ ও ৩০ জুন স্থানীয় লাগোর্ডিয়া ম্যরিয়েট হোটেলে এ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন (এমএমসি এ এএনএ) আয়োজিত এ পুনর্মিলনীতেু ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী যারা বর্তমানে চিকিৎসা-সহ অন্যান্য পেশায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন শহরে কর্মরত আছেন তাদের অনেকেই সপরিবারে অংশ নেন। নিউইয়র্কে এটা ছিল সংগঠনটির দ্বিতীয় পুনির্মলনী। এর আগে ২০০৬ সালে লং আইল্যান্ডের একটি পার্টি হলে প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। গত সপ্তাহের পুনর্মিলনীতে উত্তর আমেরিকা ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে অতিথি হিসেবে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ও বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। পুনির্মলনী অনুষ্ঠানে প্রথম দিন ২৯ জুন শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত টানা প্রায় ৬ ঘন্টা চলে স্মৃতিচারণ, গান পরিবেশন, কৌতুক ও আড্ডা পর্ব। দীর্ঘদিন পর সহপাঠী, অনুজ ও অগ্রজ সতীর্থদের সাথে দেখা ও কথা বলার সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কিছুটা সময়ের জন্য হলেও তারা ফিরে যান কলেজ জীবনে। অতীতের সুখময় দিন ও সুবর্ন মুহূর্তগুলোর স্মৃতি আবারো আনন্দঘন করে তুলে ম্যারিয়টের পরিবেশকে। পুনর্মিলনীর দ্বিতীয় দিন ৩০ জুন শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে অনেকগুলো খন্ড খন্ড কর্মসূচি। নতুন চিকিৎসকদের চাকরি সুবিধা, এলামনাই এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও স্মৃতিচারণ ছিলো এ পর্বের অন্যতম আকর্ষণ। এদিন সন্ধ্যায় ম্যারিয়টের বল রুমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায়। বাংলাদেশ ও আমেরিকান জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এ পর্ব পরিচালনা করেন ডা. সিনহা মনসুর। এ পর্বে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, প্রাক্তন সংসদ সদস্য ডা. সালাউদ্দিন আহমেদ, এমএমসি এলমনাই’র প্রেসিডেন্ট ডা. এম আবিদুর রহমান এবং বীর প্রতীক ডা. সেতারা বেগম। এ পর্বে অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ডা. সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ডা. সেতারা বেগমকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অতিথিবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অতীত এবং বর্তমান সময়ের বিভিন্ন গৌরবোজ্জ্বল দিক নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে দেশ-বিদেশে চিকিৎসক হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীগণ অত্যন্ত সুনামের সাথে কর্মরত রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন বক্তাগণ। পুনর্মিলনীর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীগণ নিজেদের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সৌহার্দ্য অব্যাহতভাবে বজায় রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। আলোচনা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক সেসন চলে রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ডাক্তার এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অনেকে নাচ, গান ও কৌতূক পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী রিজিয়া পারভীন এবং স্থানীয় শিল্পী বকুল। তারা অনেকগুলো জনপ্রিয় গান পরিবেশন করন। পুনর্মিলনীর পুরো অনুষ্ঠানটিই ছিলো আনন্দে পরিপূর্ণ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষা ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ। ১৯২৪ সালে বাঘমারায় ‘লিটন মেডিকেল স্কুল’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু। তখন শুধুমাত্র এলএমএফ ডিগ্রী দেয়া হতো প্রতিষ্ঠানটি থেকে। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে ৩২ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শুরু হয় প্রথম এমবিবিএস কোর্স। সে সময় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির অধীনে এমবিবিএস ডিগ্রী প্রদান করা হচ্ছিল। বর্তমানে স্নাতোকত্তর ডিগ্রিও দেয়া হচ্ছে এখান থেকে। এমবিবিএস ছাড়াও ডেন্টাল ডিগ্রি বিডিএস ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে। বর্তমানে প্রতি বছর ১৯৭ জন এমবিবিএস, ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী বিডিএস এ ভর্তি হচ্ছে। অনেক বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীও এখানে পড়াশোনা করছে। মেডিকেল কলেজটি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার চিকিৎসক বেরিয়েছেন। বাংলাপ্রেস/ইউএস
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন