১৪ অক্টোবর ২০২৫

নিউ ইয়র্কে রাজাকারের বংশপরস্পরা দিচ্ছে ব্যারিষ্টার সুমনের সংবর্ধনা!

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
নিউ ইয়র্কে রাজাকারের বংশপরস্পরা দিচ্ছে ব্যারিষ্টার সুমনের সংবর্ধনা!
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তিকারী ও রাজাকারের বংশপরস্পরা যুদ্ধাপরাধী ও আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল ইসলাম সুমনকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কসের ন্যাটিভিটি চার্চের মিলনায়তনে আগামী ৩১ মার্চ রবিবার এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ঘটনায় নিউ ইয়র্কের সর্বত্রই চলছে আলোচনার ঝড়। ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল ইসলাম সুমনকে চেনেন না এমন মানুষ বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।নিজের খরচে তার এলাকায় ব্রীজ-কালভার্ট,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাহায্য সহ অনেক অপরাধ মূলক কান্ড ফেইসবুক লাইভে প্রচার করে তিনি দেশ-বিদেশের লাখ লাখ বাঙালির নজর কেড়েছেন।এ কারণেই তিনি বাংলাদেশিদের কাজে বেশ পরিচিত। তাকে সরল প্রকৃতির মানুষ ও যুব সমাজকে সঠিক পথ প্রদর্শক বলে থাকেন অনেকেই। অনেক প্রতিবাদী প্রচারে প্রশাসনের উচ্চ মহলের কিছু দুর্নীতিবাজদের যেমন বারোটা বেজেছে, তেমনি তিনিও সরকারের উপর মহলের কুনজরে পড়েছেন। ব্যাক্তিগত সফরে ব্যারিষ্টার সুমন বর্তমানে সপরিবারে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। তার সরলতার সুযোগ নিয়ে রাজাকারের বংশপরস্পরা ও জামাত-বিএনপির কতিপয় দালাল প্রবাসী হবিগঞ্জবাসীর নাম ব্যবহার করে তার সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। এ ঘটনা নিয়ে নিউ ইয়র্কসহ সর্বত্রই চলছে আলোচনার ঝড়। জানা যায়, উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির নেতৃত্বস্থানীয়দের মধ্যে বেশির ভাগই জামাত ও বিএনপির এজেন্ট এবং রাজাকারের বংশপরস্পরা। তারা সর্বদাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি ও আওয়ামী বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত। আয়োজক কমিটির আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ মিয়ার আপন দুই মামা মৃত বদরুল চৌধুরী ও নজরুল চৌধুরী কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। বদরুল চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী হিসেবে পালিয়ে আমেরিকা আসার পর এক পর্যায়ে বৈধ হয়ে তার ভাই নজরুল চৌধুরীসহ পরিবারের অনেক লোককে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসেন।একাত্তরে এরা তাদের এলাকায় বদু রাজাকার ও নজু রাজাকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মামাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেফাজ মিয়া অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। সমাজে শেফাজ মিয়া নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে পরিচয় দিলেও সে মূলত নানা অপকর্মে জড়িত। শেফাজের মামাতো ভাই শামীম চৌধুরী ও তার সহোদর ভাই হারুন চৌধুরীকে নিয়ে শেফাজ মিয়ায় ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির একটি বিশাল চক্র গড়ে তুলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারীদের হাতে ধরা পরে শামীম ও হারুন চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য করা হয়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে শেফাজ মিয়া বহিস্কারের হাত থেকে রক্ষা পান। স্বপ্নের দেশ আমেরিকার নিউ ইয়র্কে অনেক বাঙালিরা ট্যাক্সি চালিয়ে যেখানে ঘর ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে ট্যাক্সিচালক শেফাজ মিয়ার রয়েছে পরিশোধকৃত বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পত্তি। এসবই মূলত: তার অবৈধ ব্যবসা ও ক্রেডিটকার্ড জালিয়াতির ফসল বলে অনেকেই ধরনা করেছেন। বাংলাদেশের চুনারুঘাট ও সায়েস্তাগঞ্জেও তার রয়েছে মরণ নেশা ইয়াবাসহ নানা প্রকার মাদকের ব্যবসা। সেই ব্যবসা দেখশোনার জন্যই তিনি প্রতি বছর একবার দেশে যাতায়াত করে থাকেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি কিংবা কেন্দ্রিয় নেতারা যুক্তরাষ্ট্রে আসলে তাদেরকে সংবর্ধনা দিয়ে ফটোশফ করতেই মরিয়া হয়ে উঠেন মিজানুর রহমান চৌধুরী ওরফে শেফাজ মিয়া। অন্যদিকে সস্তা মিডিয়া ফেইসবুকের মাধ্যমে জামাত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং সরকারের বিরোধী কাজ তথা শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করা থেকেও পিছিয়ে নেই শেফাজ মিয়া। শেফাজ মিয়ার ‘ Miznur Chowdhury ’ নামক ফেইসবুক আইডির টাইমলাইনে পাওয়া গেছে শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশ সরকারের কর্মকান্ড বিরোধী স্টাটাস। এতেই বোঝা যায় মিজানুর রহমান চৌধুরী ওরফে শেফাজ মিয়ার প্রকৃত পরিচয়। অন্যদিকে, আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব শামীম আহমেদ তালুকদারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশ কয়েক বছর যাবত বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে কটুক্তি মূলক লেখা এবং সরকার বিরোধী অনেক প্রচার প্রচারনায় জড়িত। এসব ঘটনা নিয়ে প্রায় দুইবছর আগে হবিগঞ্জে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে শামীম আহমেদ তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। শামীম তালুকদার মামলা হতে রক্ষা পাবার আশায় মোটা অংকের অর্থ দিয়ে এই সংবর্ধনা নাটকের সদস্য সচিব পদ লাভ করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানের অন্যতম বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ এম উদ্দিন আলমগীর মিয়া এ অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক। বিএনপি সরকারের আমলে তিনি তার রুমমেট ইকবাল আনসারীর কাছে প্রায়ই গর্ব করে বলতেন যে, ‘তার বাবা রাজাকার ছিলেন তাই তিনি তার বাবাকে নিয়ে গর্বিত’। আলমগীর মিয়ার আপন চাচা বাহুবলের আক্কেল আলীও কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। রাজাকার আক্কেল আলী পলাতক অবস্থায় সুইডেনে মারা যান। আলমগীর মিয়া বর্তমানে একজন ফেইসবুক এক্টিভিষ্ট। পৃথিবীর অনেক কিছুই তিনি ফেইসবুকে ভাইরাল করে থাকেন। কিন্তু তাহার জন্মস্থান বাহুবল সম্পর্ক্যে তাহার কোন আজও ফেসবুকে দেখা যায়নি।যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের কাছে আলমগীর মিয়া একজন কুলাঙ্গার হিসেবে পরিচিত। বিপি/সিএস
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন