
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: নিউ ইয়র্কে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্রস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সম্মিলিত জোট। গত বুধবার জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনামূলক উক্ত অনুষ্ঠানে নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
নিউ ইয়র্ক প্রবাসী দুই কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসানের বঙ্গবন্ধুর উপর গান পরিবেশন মধ্য দিয়ে অনুশঠানের সূচনা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূস্পার্ঘ অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ড. প্রদীপ রঞ্জন করের সভাপতিত্বে এবং কায়কোবাদ খান ও ইঞ্জিঃ মিজানুল হাসানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা তোফায়েল চৌধূরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম বাদশা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস, নিউ ইয়র্ক প্রদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল আলম হিরা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সদস্য ইলিয়ার রহমান, আওয়ামীলীগের সদস্য আশরাফ মাসুক, আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী, ইকবাল হোসেন ও ওয়ালী হোসাইন, শেখ হাসিনা মঞ্জের সভাপতি জালালউদ্দিন জলিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি ডিএম রনেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সনপাদক সুবল দেবনাথ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন যুগ্ম সম্পাদক নাফিকুর রহমান তুরান, সাবেক যুক্তরাষ্ট্র ছাএলীগ সভাপতি জেড এ জয়, যুক্তরাষ্ট্র ছাএলীগের সাবেক সাধারন যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ সাধারন সম্পাদক রেফায়েতউল্লা চৌধূরী,পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদ সভাপতি আশরাফুল হক, আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ সভাপতি মোশেদা জামান, গোপালগঞ্জ সমিতি নেতা খসরুল আলম, এম.জি মুস্তফা, হেলাল মিয়া, স্বপন বিশ্বাস সহ প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক ও বেদনার দিন। এই দিনেই ঘাতকেরা হত্যা করেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তারা হত্যা করে শিশু-নারীসহ তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে। ইতিহাসে এ রকম নৃশংসতার নজির নেই। এই দিনে বাংলাদেশ হারিয়েছে তার স্থপতিকে, বাংলাদেশিরা হারিয়েছেন তাদের জাতির পিতাকে, বাঙালি হারিয়েছে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালি থাকবে, ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অম্মান হয়ে থাকবে। জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান বক্তারা। তারা আরো বলেন-এবারের শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করার অঙ্গীকার করা হয়।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]