ইমা এলিস: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ক্যাসেল হিলের বাংলাদেশি কলেজ শিক্ষার্থী রিওনা আলম স্থানীয় রাজনীতির কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। বর্তমানে হান্টার কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অন্য সাধারণ কলেজ শিক্ষার্থীদের মতো খণ্ডকালীন চাকরি করছেন না।বেবিসিটিং বা রিটেইল কাজ করার বদলে তিনি এখন কুইন্সের কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃষ্ণানের অফিসে ইন্টার্নশিপ করছেন।
রিওনা হলেন কোয়ালিশন ফর এশিয়ান আমেরিকান চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলিজ (সিএসিএফ)-এর প্রথম পাবলিক সার্ভিস ইন্টার্ন। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণদের স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। সিএসিএফ-এর এশিয়ান আমেরিকান স্টুডেন্ট অ্যাডভোকেসি প্রজেক্টের (এএসএপি) প্রাক্তন সদস্য হিসেবে রিওনা আগে থেকেই তার সম্প্রদায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। জ্যাকসন হাইটস ও এলমহার্স্টের প্রতিনিধিত্বকারী কৃষ্ণানের অফিসে কাজ করার সুযোগ পেয়ে তিনি ছিলেন বেশ উচ্ছ্বসিত।
রিওনা বলেন, ক্যাসেল হিল ও পার্কচেস্টারের পরিবেশ যেন মিনি-জ্যাকসন হাইটস। তাকে কুইন্সের বাসিন্দাদের সহায়তায় ভালোভাবে প্রস্তুত করেছে। সিএসিএফ-এর প্রোগ্রামগুলির জন্য কৃষ্ণানের সমর্থন জানার পর, তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এবং বলেছিলেন 'হ্যাঁ আমাকে ওই অফিসে পাঠাও।'
রিওনা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৬ ঘণ্টা কৃষ্ণানের সঙ্গে কাজ করেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য গ্রাফিক্স তৈরি, নিউজলেটার প্রস্তুত, স্থানীয় ইভেন্টে সহায়তা এবং আইন প্রণয়ন গবেষণার মতো কাজ করছেন। সম্প্রতি তিনি ঝোপঝাড়ে আগুন এবং যৌন পাচারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলিতে কাজ করেছেন, যা কুইন্সে তাৎক্ষণিক গুরুত্ব পেয়েছে।
বাংলাদেশি অভিবাসী বাবা-মায়ের মেয়ে রিওনা বর্তমানে হান্টারে প্রি-ল অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স অধ্যয়ন করছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশি সম্প্রদায়ে বেড়ে উঠলেও, কখনো কখনো তার মনে হতো তিনি 'পর্যাপ্ত বাংলাদেশি' নন।
তিনি বলেন, 'আমার বাবা পার্কচেস্টারের এক জায়গায় কাজ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে চা খেতেন, আর মা প্রতিদিন সকালে আমাদের স্কুলে নামানোর পর সেখানেই বাজার করতেন।
রিওনা বিশ্বাস করেন যে, তার অভিজ্ঞতা এবং পরিচয়ের এই অনুসন্ধান তাকে আইন ও নীতিমালা নিয়ে কাজ করার অনুপ্রেরণা দেয়, যেখানে দক্ষিণ এশীয় ও মুসলিম প্রতিনিধিত্ব কম। তিনি বলেন, ইতিহাস, বর্তমান ঘটনা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রতি তার ভালোবাসা তাকে তার সম্প্রদায়ের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় এশিয়ান আমেরিকান প্যাসিফিক আইল্যান্ডার ( এএপি আই) সম্প্রদায়কে সুযোগ নেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া হয়।
রিওনা মনে করেন, তরুণদের নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে পিছিয়ে থাকা উচিত নয়। তিনি তার সহপাঠীদের বিভিন্ন সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেন, 'যখন আমরা এসব ক্ষেত্রে কাজ করি, এটি আমাদের নিজস্ব সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করার জন্য আরও ভালো সুযোগ তৈরি করে।'
বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]