
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা করেছে যুক্তরাষ্টস্থ মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ই অক্টোবর) ভার্জিনিয়ার ফলস চার্চের একটি রেস্তোঁরায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্হিতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে তার সমর্থনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল আমিন নুরুর সভাপতিত্বে এবং মাহমুদুন্নবী নবী বাকী সঞ্চালনায় সভার শুরুতেই সম্প্রতি নিহত আবরার ফাহাদের আত্বার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনার্থে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের উপদেস্টা প্রফেসর জিয়াউদ্দিন খান, সহসভাপতি মোহান্মদ আযম আজাদ,যুগ্ম সা:সম্পাদক কামাল হোসেন,সদস্য ফরিদুল ইসলাম,সদস্য শাহরিয়ার আলমগীর,মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রাবিউল ইসলাম রাজু,সা:সম্পাদক সর্বজিৎ দাস তুর্য,সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক সাজ,সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম। নুরুল আমিন নুরু সমাপনী বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন চলমান মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। প্রধানমন্ত্রী নিজ দলে শুদ্ধি অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের জনগণ ও বিরোধী দলগুলোর ভেতরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকতে পারে, তবে এ ধরনের ভালো কাজে ঐক্য থাকতে হবে। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ক্যাসিনো মালিকরা যেন কারোর ছায়াতলে আশ্রয় না পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এতে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ রক্ষা পাবে। তাদের যদি এসব জঘন্য কাজ থেকে রক্ষা করতে না পারি, সামনে তা দেশের জন্য অশনিসংকেত। অভিযানটিকে কলঙ্কিত ও হালকা করতে অনেকেই নানা তদবির এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টোপ দিতে পারে, তাঁরা যেন দেশ-জাতির জন্য কাজ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন এবং এই নীতিতে অবিচল রয়েছেন। কিন্তু তাঁর ঘোষণার প্রতি দলের অনেকেই গুরুত্ব না দিয়ে আখের গোছানোতেই ব্যস্ত ছিলেন। তিনি এখন কারো কোনো নালিশ শুনতে চান না। ছাত্রলীগের পর যুবলীগ ধরেছেন। বাকিদেরও ধরবেন। তাঁর এমন দৃঢ় মনোভাবের কারণে আতঙ্কে আছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় অনেকেই। বিশেষ করে, যাঁদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, আধিপত্য বিস্তারে ক্যাডার বাহিনী পালন করার অভিযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবেসে প্রাণ দিয়েছেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বারবার বলেছেন, তিনি এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। তার মানে তো এই নয় যে দলের কিছু নেতা বা কর্মী সুযোগ বুঝে দল ও সরকারের নাম ভাঙিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করে যাবেন। আমরা চাই অভিযান চলমান থাকুক। এর মাধ্যমে শুধু দল ও সরকার পরিশুদ্ধ হয়ে উঠবে তা নয়, দেশের সর্বস্তরের দুর্নীতিবাজরা সতর্ক হয়ে যাবেন এবং অনিয়ম-দুর্নীতি করার দুঃসাহস দেখাবেন না।
মেট্রো ওয়াশিংটন আ.লীগের উপদেস্টা শাহজাহান মিয়া,দফতর সম্পাদক আসিফ চৌধুরী রায়হান,সদস্য রিমন সর্দার,সদস্য লুৎফর রহমান সেতু,সদস্য মনির হোসেন, সদস্য শহীদুল ইসলাম,বিটু, যুবলীগের সহসভাপতি হাসানুল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক আজিম আযর,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান, জামাল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহসভাপতি উত্তম মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম উক্ত সভায় উপস্হিত ছিলেন।
বিপি।সিএস
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]