বাংলাপ্রেস ডেস্ক: এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ভারত-পাকিস্তান। এই দুই দলের খেলা মানেই বাড়তি উত্তেজনা। ম্যাচের পরতে পরতে থাকে রোমাঞ্চ। মাঠের লড়াই যুদ্ধের মতো টানটান উত্তেজনায় পরিণত হয়।
অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল ও শ্রীলংকান আম্পায়ার রুচিরা পল্লিয়াগুরুগে।
তাদের প্রতিটি আপিলের জবাবে রিভিউ নিতে বাধ্য হন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। প্রতিপক্ষের আবেদনে পাঁচবার আঙ্গুল তুলে তিনবার স্যরি বলে ক্ষমা চাইতে হয় এই দুই ফিল্ড আম্পায়ারকে।
তাইতো ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো, যেখানে প্রতিটি বলের বর্ণনা দেওয়া হয় সেখানে জাসিয়া নামে একজন লেখেন, ‘এত বড় ম্যাচে এ কেমন আম্পায়ারিং! আম্পায়ারদের প্রতিটি আপিলের জবাব দিতে হলো? এমনকি ক্লোজ কলও ছিল না। এত বড় ম্যাচে আম্পায়ারিং আরও ভালো হওয়া দরকার ছিল।’
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৭তম আসরের ষষ্ঠ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সায়েম আইয়ুব। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে জসপ্রীত বুমরাহর বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ হারিস। ১.২ ওভারে মাত্র ৬ রানে টপঅর্ডার দুই ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান।
দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন ওপেনার শাহেবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। তৃতীয় উইকেটে তারা ৩৮ বলে ৩৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
একটা পর্যায়ে ২ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৪৫ রান। এরপর খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। মাত্র ১৯ রানের ব্যবধানে পাকিস্তান হারায় ৪ উইকেট।
দলীয় ৪৫ রানে অক্ষর প্যাটেলের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ফখর জামান। তিনি ১৫ বলে মাত্র ১৭ রান করার সুযোগ পান।
পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে অক্ষর প্যাটেলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন পাকিস্তানের অধিনায়ক আগা সালমান। তিনি ১২ বলে ৩ রানে ফেরেন।
৪ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৬৪ রান। এরপর আর কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন হাসান নওয়াজ ও মোহাম্মদ নওয়াজ। তারা দুজনেই কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হন।
ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১৭তম ওভারের প্রথমে বলে আউট হন শাহেবজাদা ফারহান। তিনি ৭৯ মিনিট উইকেটে থেকে ৪৪ বল মোকাবেলা করে টেস্টের আদলে ব্যাট করে মাত্র ৪০ রান করেন। ভারতের মতো একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার এমন স্লোমোশন ব্যাটিং দলকে ডুবিয়েছে।
১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন ফাহিম আশরাফ। ১৯তম ওভারের শেষ বলে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সুফিয়ান মুকিম।
ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিনি ১৬ বলে ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলায় পাকিস্তান ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তুলতে সক্ষম হয়।
ভারতের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রানের ৩ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ২ উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল। ৪ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]