
রুদ্ধশ্বাস জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ বাংলাদেশের


বাংলাপ্রেস ডেস্ক: মিডল অর্ডার হোক কিংবা লোয়ার মিডল অর্ডার, ধসে পড়াটা যেন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের বৈশিষ্ট্যই হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সেটাও সামলে নিয়ে জেতাটাও যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দলের।
প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও একই দৃশ্যের দেখা মিলল। রান তাড়া করতে নেমে মাঝপথে পথ হারিয়ে বসেছিল। তবে শেষমেশ দলকে ঠিকই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন নুরুল হাসান সোহান। প্রথম ম্যাচে রিশাদ হোসেনকে পেয়েছিলেন সঙ্গী হিসেবে, আজ পেলেন শরিফুল ইসলামকে। আর তাতেই কাজটা হয়ে গেল। ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলল কোচ ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।
তবে জয়ের কৃতিত্বটা স্রেফ নুরুল হাসান সোহানকে দিলে সম্ভবত শরীফুল ইসলামের ওপর অবিচারই করা হয়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত নায়ক হয়ে উঠলেন তিনি। দশ নম্বরে নেমে ৬ বলে করলেন ১১ রান, যখন দলের প্রয়োজন ছিল ওভারপ্রতি ৯ এরও বেশি রান। শেষ ওভারের প্রথম বলেই আজমতউল্লাহকে লং অন দিয়ে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন বাঁহাতি এই পেসার। বাংলাদেশ লক্ষ্যে পৌঁছায় ৫ বল হাতে রেখে।
ম্যাচে আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে তোলে ১৪৭ রান। ব্যাট হাতে জয় নিশ্চিত করা শরীফুল ম্যাচের প্রথম ভাগে বল হাতেও ছিলেন কার্যকর। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে আফগান ব্যাটারদের চাপে রাখেন তিনি। পরে ডেথ ওভারে ফিরে দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। ৩০ রান করা গুরবাজ ছিলেন আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে নাসুম আহমেদ ও সাইফউদ্দিনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। নাসুম ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সাইফউদ্দিন উইকেট পাননি, তবে তার ৪ ওভারে খরচ হয়েছে মাত্র ২২ রান। রিশাদ নিয়েছেন ২ উইকেট।
জবাবে রান তাড়ার শুরুটা সহজ ছিল না বাংলাদেশের। ২৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় দল। আগের ম্যাচে ফিফটি করা দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আর পারভেজ হোসেন ইমন দুজনেই ফেরেন ২ রান করে। এরপর দারুণ এশিয়া কাপ কাটানো সাইফ হাসান আউট হন ১৮ রান করে।
তবে মাঝের ওভারে দলকে কক্ষপথে ফিরিয়ে আনেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও জাকের আলী। জাকের আউট হওয়ার আগে করেন ২৫ বলে ৩২। শামীম খেলেন ২২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস।
মাঝে অবশ্য ছোটখাট একটা ধস নামে। ৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট চলে যায় লোয়ার মিডল অর্ডারে। শেষদিকে ম্যাচের দায়িত্ব নেন নুরুল হাসান। তার ২১ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। সেখান থেকে শেষ কাজটা সেরে দেন শরীফুল।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে। ফলে শেষ ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই ট্রফি নিশ্চিত করল টাইগাররা।
বিপি>টিডি
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন



-68eb25d6635b2.jpg)
-68eb58c4c0835.jpg)
