
দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায়-বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে রুহিয়া থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক সহ ২০জনকে আসামী করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০ জনকে আসামী করে রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।অপরদিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেন,সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বাবু ও ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন সহ ৬৯ জন কে আসামী করে বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আওয়ামীলীগের দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ ইতোমধ্যে নওশাদ আলী (৪৩) ও ইসমাঈল হোসেন(৫২) নামে ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।আর বিএনপির দায়েরকৃত মামলা তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওসি রুহিয়া থানাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।তবে এখন পর্যন্ত মামলার এজাহার থানায় পৌছে নি।
রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেনের দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, দেশব্যাপি বিএনপি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে রুহিয়া থানা মহিলা আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ভন্ডুল করতে মরিয়া হয়ে উঠে ।ওইদিন বেলা ২ টায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হকের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একদল যুবক হাতে লাঠি সোটা লোহার রড,হকিষ্টিক, রামদা ,আগ্নেয়াস্ত্র সহ বে আইনী অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ত্রাস ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এর বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেএম অটো রাইস মিলে হামলা চালায়।আসামীরা উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং বাসার ভেতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আসামীরা নৈরাজ্য চালিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
অপরদিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় অভিয়োগ করা হয়, ৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গুম খুন হত্যা সহ সার জ্বালানী তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে রুহিয়া থানা বিএনপি আয়োজিত মিছিল ও সমাবেশ সফর করতে লোকজন মিছিল নিয়ে আসার সময় বর্নিত আসামীরা রামনাথহাট এলাকার প্রতিটি মোড়ে বাঁধার সৃষ্টি করে।আসামীরা লাঠি সোটা নিয়ে তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায় ও রাস্তা দিয়ে আসা মোটর সাইকেল ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে।এ সময় আসামীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাদী আনছারুল হক গুরুতর আহত হন।পরে ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।উক্ত অভিযোগে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৬৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।আদালত তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রুহিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়।
রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা জানান, বিএনপির দায়েরকৃত মামলার কপি এখনো পাইনি।পেলে নির্দশনা মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রুহিয়া থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি পার্থ সারর্থী সেন বলেন,জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক পরিকল্পিতভাবে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি সাহেবের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে সম্পদের ক্ষতি সাধন করেছে ও লোকজনকে আহত করেছে।এখন নিজেরা বাঁচতে আমাদের লোকজনকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]