
সাহস করে ভোট দিন, ধানের শীষের জয় কেউ আটকাতে পারবে না : মির্জা ফখরুল ইসলাম



এম আর আলী টুটুল, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : জনগণ আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় দেখতে চান না, টের পেয়ে শেখ হাসিনা তার বিগত ১০ বছরের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু জনগণ তাকে ক্ষমা করবেন না এটা আমার বিশ্বাস। কারণ শেখ হাসিনার অপকর্মগুলো ক্ষমার অযোগ্য। গতকাল ২২ ডিসেম্বর বিএনপি’র মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে পার্বতীপুরে যাওয়ার সময় বেলা ১২টায় শহরের ফাইভ স্টার মাঠে এক পথসভায় তিনি জনগণের মাঝে এ কথা বলেন। ওই সময় পথসভাটি জনসমূদ্রে পরিণত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামীলীগ বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের নীচে মাটি নেই। যে কোন সময় তারা মরণ কামড় দিয়ে ভোট কেন্দ্রে হামলা চালাতে পারে। ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে পারে। জাল ভোট দিয়ে তারা আবার ক্ষমতায় আসার অপচেষ্টা চালচ্ছে। তাই ভোট কেন্দ্রে পাহাড়া দিন। ভয় পাবেন না। ধানের শীষকে জয়ী ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নিবেন। মানুষের জীবনে মৃত্যু এক বারই হয়। বীরত্তের পরিচয় দিয়ে ভোট কেন্দ্রে অবস্থান নিবেন। তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেই চলেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন বলেছিলেন তফসিল ঘোষণার পর হামলা মামলা ও গ্রেফতার করা হবে না। কিন্তু তারা কথা রাখেনি। আওয়ামীলীগ ও তার শরীক দল পোষ্টার, ব্যানার ও পতাকা লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি’র বেলায় সেটা অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় বাংলাদেশ লুটের বাজারে পরিণত হয়েছে। মানুষ হত্যা হয়েছে, গুম হয়েছে, কোটি কোটি টাকা লুট করে পাচার করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ যখন বিএনপি’র পক্ষে একট্টা হয়েছে এবং বিজয়ী করতে চান তখন তা টের পেয়ে ক্ষমার কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা দেশের নাগরিক ন্যায় অন্যায় বুঝে ভোট দেওয়ার অধিকার আপনাদের আছে। ভয় পাবেন না।
আপনারা সকলেই ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৭টার মধ্যে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আপনাদের প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকারকে ভোট দিয়ে কেন্দ্র পাহাড়া দিবেন। যাতে করে সন্ত্রীরা পক্ষ্যরা জাল ভোট দিতে না পারে। সাহস করে ধানের শীষে ভোট দিন। এবার ধানের শীষের জয় কেউ আটকাতে পারবেনা। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আওয়ামীলীগের নৌকার সমর্থনে জনগণ নেই। তাদের আছে শুধু পুলিশ ও আদালত। ভোটাররা যাতে করে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে এবং ভোট দিতে না পারে এজন্য পুলিশের দ্বারা গ্রেফতার আতংক সৃষ্টি করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার নেতাকর্মীদের। গ্রেফতার করার পর আদালতে গেলে আদালত গ্রেফতারকৃতদের জামিন দিচ্ছেন না। শুধুমাত্র গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জনগণকে হয়রানী ও দেশকে সন্ত্রাসের রাজত্ব্য কায়েম করতেই পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ পথসভায় অন্যন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী -৪ আসনের সংরক্ষিত এমপি বিলকিস আরা বানু, চিরিরবন্দর এলাকার সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান মিয়া, পার্বতীপুরের সাবেক এমপি রেজওয়ানুল হক, সৈয়দপুর জেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার ও সহ-সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া প্রমুখ।
বিপি/আর এল
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন



মিরপুর অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পাশে জামায়াত আমির, ১ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা


কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাঁদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে: জামায়াত নেতা
