১৩ অক্টোবর ২০২৫

সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কার

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কার

 

ইমা এলিস: স্প্যানিশ ভাষার পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক মারিও গুয়েভারাকে এল সালভাদরে নির্বাসিত করা হয়েছে। প্রেস ফ্রিডম অ্যাডভোকেটরা অভিযোগ করেছেন, এটি তার সাংবাদিকতার জন্য নেওয়া প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ।

বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষাকারী সংস্থা কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)-এর এক নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গুয়েভারার নির্বাসন শুক্রবার সকালে কার্যকর করা হয় এবং সংস্থাটি প্রথমবারের মতো এমন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নথিভুক্ত করলো যা সরাসরি সাংবাদিকতার কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত।

সিপিজে-র যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের প্রোগ্রাম সমন্বয়ক ক্যাথরিন জ্যাকবসেন বলেন, এটি সাধারণ কোনো অভিবাসন মামলা নয়, যেমনটা কর্তৃপক্ষ জনগণকে বিশ্বাস করাতে চাইছে শুক্রবার গুয়েভারা এল সালভাদরে পৌঁছান এবং সেখানকার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেয়।

গুয়েভারা এল সালভাদরে সাংবাদিকদের বলেন,(সিএনএনের বরাতে) আমি দুঃখিত, তবে খুশিও যে আমি আমার মাতৃভূমিতে ফিরেছি, অন্তত তারা আমাকে হত্যা করেনি। হয়তো বর্ণবাদী সরকার চেয়েছিল আমাকে হত্যা করতে।

তিনি বলেন, তবুও আমি আমার দেশে আছি, দিন শেষে এটাকে আমি আশীর্বাদ মনে করি।

গত জুনে আটলান্টা, জর্জিয়ার কাছে ট্রাম্পবিরোধী 'নো কিংস' বিক্ষোভ সরাসরি সম্প্রচার (লাইভস্ট্রিম) করার সময় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুয়েভারাকে গ্রেপ্তার করে।

তার বিরুদ্ধে তিনটি মিসডিমিনর অভিযোগ আনা হয়েছিলঅবৈধ সমাবেশ, কাজে বাধা এবং রাস্তার উপর দিয়ে পদযাত্রার অভিযোগে। যদিও বিচারক তাকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) তার বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করে।

পরে তাকে দক্ষিণ জর্জিয়ার ফোকস্টন আইসিই প্রসেসিং সেন্টারসহ আরও দুটি ডিটেনশন সেন্টারে সরানো হয়। সব অভিযোগ খারিজ হওয়া এবং অভিবাসন বিচারক জামিনের নির্দেশ দেওয়ার পরও আইসিই তাকে হেফাজতে রাখে। তার পরিবার তিনবার ৭,৫০০ ডলারের জামিন দিতে চাইলেও আইসিই গ্রহণ করেনি বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে। আগস্টে গুয়েভারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেন, অভিযোগ করেন যে তাকে অসাংবিধানিকভাবে আটক রাখা হয়েছে।

এমজি নিউজ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সাংবাদিক গুয়েভারা যুক্তরাষ্ট্রে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করেছেন। ২০০৪ সালে তিনি বৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করেন এবং ২০০৫ সালে আশ্রয় আবেদন করেন, কারণ সাংবাদিকতার কারণে এল সালভাদরে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন।

মারিও গুয়েভারা আইনত যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন, কিন্তু তবুও সরকার তার প্রথম সংশোধনী অধিকারের চর্চা পছন্দ না করায় তাকে টার্গেট করে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয়,” বলেন দ্য ফ্রি প্রেস-এর সিনিয়র কাউন্সেল নোরা বেনাভিদেজ। “যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিষ্ঠাকালীন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মূলনীতিকে ত্যাগ করছেএটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস)-এর সহকারী সচিব ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন দ্য হিল-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, 'ডিএইচএস আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে যে মারিও গুয়েভারা এখন তার দেশে, এল সালভাদরে ফিরে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, যদি কেউ আমাদের দেশে এসে আইন ভঙ্গ করে, আমরা তাকে গ্রেপ্তার করব এবং সে আর কখনো ফিরতে পারবে না।

বিপি।সিএস

 

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন