বাংলাপ্রেস ডেস্ক: থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদ ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে তার দল। এর আগে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানায় দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল।
কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর ফলে দেশটিতে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয়।
তবে তার ফিউ থাই দল তত্ত্বাবধায়ক পদে এখনো ক্ষমতায় রয়েছে। ক্ষমতা-বহির্ভূত বিরোধী পিপলস পার্টিকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাদের নিজস্ব নতুন প্রার্থীকে সমর্থনের অনুরোধ করেছিল। কিন্তু পিপলস পার্টি রক্ষণশীল টাইকুন আনুতিন চার্নভিরাকুলের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে।
এর কিছুক্ষণ পরেই ফিউ থাই মহাসচিব সোরাওং থিয়েনথং এএফপিকে বলেছেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ‘সংসদ ভেঙে দেওয়ার একটি ডিক্রি জমা দিয়েছেন।
থাই সংবিধান অনুসারে, রাজা যদি সংসদ ভেঙে দেওয়ার অনুমোদন দেন, তাহলে ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।
ফিউ থাই হলেন সিনাওয়াত্রা রাজবংশের বর্তমান নির্বাচনী বাহন, যারা দুই দশক ধরে রাজ্যের রাজতন্ত্রপন্থী, সামরিক অভিজাতদের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলেছেন, তাদের প্রভাব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে এবং তারা ক্ষমতার ওপর আধিপত্য বজায় রাখতে লড়াই করছে।
পিপলস পার্টি তার ১৪৩ সদস্যের সংসদীয় ব্লক আনুতিনকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।কিন্তু সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় তিনি শীর্ষ পদে আসীন হবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
অনুতিনের ভুমজাইথাই পার্টি সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নের একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট সমর্থক ছিল, কিন্তু কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের সময় তার আচরণের জন্য তাদের শাসন ক্ষমতা চলে যায়। একই বিরোধের কারণে শুক্রবার সাংবিধানিক আদালত পায়েতংতার্নকে বরখাস্ত করে।
২০২৩ সালের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত প্রার্থীরাই কেবল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্য এবং একের পর এক অস্থিরতার ফলে সম্ভাব্য নেতার সংখ্যা মাত্র পাঁচে নেমে এসেছে।
পিপলস পার্টি বলেছে, অনুতিনকে সমর্থন করার জন্য তাদের সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং চার মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের শর্ত রয়েছে।এর অর্থ তার পদে উন্নীত হওয়া ও নির্বাচনের জন্য মঞ্চ তৈরি করবে।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]