১৪ অক্টোবর ২০২৫

সৌদি আরবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে লক্ষ্মীপুরের যুবকের মৃত্যু

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
সৌদি আরবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে লক্ষ্মীপুরের যুবকের মৃত্যু

আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর থেকে : সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে নিজ বাসায় রান্না করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয় ইসমাইল হোসেন (৪০)। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের স্বজনরা। নিহত প্রবাসী ইসমাইল হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর রায়পুর গ্রামের আমান উল্লার ছেলে। নিহতের লাশ বর্তমানে সৌদি আরবের রিয়াদ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এদিকে প্রবাসীর মৃত্যুর খবরে পিতা-মাতা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে এক ছেলেসহ স্বজনদের মাঝে এখন শোকের মাতম বইছে।

নিহতের স্ত্রী ফেন্সি বেগম ও অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া মেয়ে তানজিনা জানান, প্রবাসী ইসমাইল হোসেন গত ১০ বছর ধরে সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে মালিকানাধীন একটি আবাসিক ভবনের তত্ত্বাবধায়কের কাজ করেন। ৪ বছর আগে বাড়িতে এসে ছুটি শেষে আবার ফিরে যান। ১৩ দিন আগে ইসমাইল রিয়াদ শহরে নিজ বাসায় রান্না করতে গিয়ে গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরনে মারাত্মক আহত হন ও মুখমন্ডলসহ শরীরের বেশীরভাগ অংশ আগুনে পুড়ে যায়। এসময় তার সহ-কর্মীরা দগ্ধ-ইসমাইলকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। মঙ্গলবার সকালে তার বন্ধু আলাউদ্দীন নামে নোয়াখালীর সদরের বাসিন্দা ফোনে আমাদেরকে জানান তিনি মারা গেছেন। এ সংবাদে স্ত্রী ও সন্তান কান্না ভেঙ্গে পড়েন। পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন পাগল প্রায় পরিবারের লোকজন। আসপাশের স্বজনরা শান্তনা দিতে এসেও তারাও কান্নায় জড়িয়ে পড়েন।

চরমোহনা ইউপি সদস্য আমির হোসেন বলেন, প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের পরিবার দাবি করছেন তিনি মারা গেছেন।ইসমাইলের মৃত্যুর সংবাদে বাড়ীতে স্ত্রী -সন্তানসহ স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। ইসমাইলকে দ্রুত দেশে আনার দাবী তার।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পি রানী রায় বলেন, এ ধরনের সংবাদ এখনো আসেনি। খোঁজ খবর নিয়ে নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানানো হবে। তাছাড়া নিহত প্রবাসীর মরদেহ দেশে দ্রুত ফিরিয়ে আনা হবে।

বিপি/ আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন