১৪ অক্টোবর ২০২৫

তেঁতুলিয়ায় অ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় তীব্র দুর্ভোগে এলাকাবাসী

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
তেঁতুলিয়ায় অ্যাম্বুলেন্স  চালক না থাকায়  তীব্র দুর্ভোগে এলাকাবাসী
হাফিজুর রহমান হাবিব তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় দীর্ঘদিন গ্যারেজে বন্দি হয়ে নষ্ট হচ্ছে সরকারী এ অ্যাম্বুলেন্স টি । এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকার পর সাধারনের কোন কাজে আসছে না। রোগীর স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ভাড়তি ভাড়ায় রোগী স্থানান্তরে পাশাপাশি তীব্র ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জনগন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল মজিদ বাবু তিনি জটিল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালের জুলাইয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর প্রায় দেড় বছর ধরে অধিকাংশ সময় গ্যারেজে পড়ে আছে সরকারী মুল্যাবান অ্যাম্বুলেন্সটি। ফলে জরুরি প্রয়োজন ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তেতুলিয়ায় থেকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে স্থানান্তরে রোগী নিতে অ্যাম্বুলেন্স সমস্যা পড়তে হয়। এদিকে হাসাপতালের অ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ থাকায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহনে বাড়তি ভাড়া দিগুন দিতে হয়। এছাড়া লক্কর-ঝক্কর ধরনের মাইক্রোবাসে তৈরি করা ব্যক্তিগত এসব অ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহন করতে গিয়ে প্রায়ই পথিমধ্যে গাড়ি নষ্টসহ রোগী মারা যায়,এমন চিত্র নানারকম দুর্ভোগ এখন তেতুলিয়ায়। অ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজে বন্দি ফলে ইঞ্জিন বিকলসহ যন্ত্রাংশ মরিচা ধরার উপক্রম নষ্ট হয়ে পড়েছে। সেসময়ে গাড়ি চালক থাকা অবস্থায় দৈনিক ৯৫ এর অধিক রোগী স্থানান্তর হয়েছিল। গত১৬ ই জুলাইতে চালকের মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য জিপচালক দিয়ে রোগী আনা-নেওয়া হতো। হাসপাতালের পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, চালক আব্দুল মজিদ কর্মরত অবস্থায় ২০২২ সালে ১ হাজার ১৪৭ জন রোগী বহন করা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। এ হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৯৫ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদিকে মজিদের মৃত্যুর পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার জিপ চালক দিয়ে মাঝে মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটি চালানো হতো। এতে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত ৫৪ জন রোগী বহন করা হয়েছে। কিন্তু বিধি অনুযায়ী, জিপচালককে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালানোর পরিপত্র না থাকায় গ্যারেজ বন্দি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে গ্যারেজে বন্দি থাকায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি ইঞ্জিন বিকল হওয়াসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ মরিচা ধরার উপক্রম হয়েছে। অন্যদিকে সেবাপ্রার্থীদের দুভোর্গের পাশাপাশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। জানতে চাইলে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃমাসুদ পারভেজ বলেন, ‘হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগের জন্য পঞ্চগড় সিভিল সার্জনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। তেতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএন) মোঃ ফজলে রাব্বি জানান,তিনি দ্রুত ব্যবস্থ গ্রহন করবেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান (ডাবলু) বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।তেতুলিয়ার প্রায় ১ লক্ষ্য ২৫ হাজার জনসংখ্যার জনগণ অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত।স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সু -দৃষ্টি কামনা করছি। বিপি/কেজে  
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন