১৫ অক্টোবর ২০২৫

ট্রাম্পের সাবেক সহকারীর কারাদন্ড

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
ট্রাম্পের সাবেক সহকারীর কারাদন্ড

বাংলাপ্রেস অনলাইন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক প্রচারণা সহকারীকে শুক্রবার কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই-এর কাছে সত্য গোপনের দায়ে তাকে এ সাজা দেয়া হয়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি/বাসস।

ট্রাম্পের এই সাবেক সহকারীর সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ ছিল। মার্কিন জেলা বিচারক র‌্যান্ডল্ফ মোস বৈদেশিক নীতি বিষয়ক সহকারী জর্জ পাপাডোপোউলোসকে ১৪ দিনের এই কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। বিচারকের সামনে তিনি অপরাধ স্বীকার করেন এবং তার কৃতকর্মের জন্য গভীর অনুতপ্ত বলেও জানান। বিচারকের সামনে পাপাডোপোউলোস বলেছেন, ‘তিনি এমন একটি তদন্তে সত্য গোপন করেন যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।’ স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে ১৬ মাস ধরে চলা দীর্ঘ তদন্তে পাপাদোপউলোসকে নিয়ে দুজনের বিরুদ্ধে কারাদ-াদেশ দেয়া হলো।

মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ট্রাম্পের দুজন সাবেক শীর্ষ সহকারী এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন। ট্রাম্প ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই মামলার ব্যয় নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন। তিনি টুইটারে জানান, ‘১৪ দিনে এই মামলার পেছনে ২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে, দিনে ২০ লাখ মার্কিন ডলার। অথচ তেমন কোন ষড়যন্ত্রের ঘটনাই ছিল না এটা। কিন্তু তাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে আমেরিকার জন্য একটি বিরাট সাফল্য বয়ে এনেছেন তারা!’

তবে সিনেট ইন্টিলিজেন্স কমিটির সিনিয়র ডেমোক্র্যাট নেতা ও সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার মুলারের কাজের প্রশাংসা করেছেন। এই কমিটি আলাদাভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ও তার মিত্রদের অব্যাহত বিভিন্ন ধরনের আক্রমণ সত্ত্বেও স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলার ও তার দল আরো একবার প্রমাণ করেছেন যে তারা আন্তরিকতা ও পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে ২০১৬ সালের নির্বাচনকালে ট্রাম্পের প্রচারণাকারীদের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসাজশের ঘটনাটি তদন্ত করেছেন।’

পাপাডোপোউলোস (৩১) ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণাকারী দলে যোগ দেয়ার সময় লন্ডনে অনভিজ্ঞ তেল বিশ্লেষক ছিলেন। তিনি রিপাবলিকান প্রার্থীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি বলেন, প্রচারণা অভিযানে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। এর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি রহস্যজনক প্রফেসর জোসেফ মিফসুদের সঙ্গে দেখা করেন। মিফসুদের মাধ্যমে পাপাডোপোউলোস ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাকে এক নারীসহ অন্যান্য রুশদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন, যাদের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যোগাযোগ রয়েছে। ওই নারী নিজেকে পুতিনের ভাতিজি দাবি করেন।

বাংলাপ্রেস/এফএস

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন