বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ‘আমি তো তোমাকে আমার পরিবারের চেয়ে বেশি দেখছি মনে হচ্ছে!’ – কথাটা কার্লোস আলকারাজের, ফাইনাল শেষে বলেছেন ইয়ানিক সিনারকে। মনে হওয়ারই কথা। চলতি বছর শুধু গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালেই যে দুই জনের দেখা হলো এ নিয়ে তিনবার! তবে শেষবার উইম্বলডনের ফাইনালে শেষ হাসিটা সিনারই হেসেছিলেন, তাই প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল আলকারাজের মনে। সিনারকে চার সেটে হারিয়ে ইউএস ওপেন শিরোপা সে প্রতিশোধটা নিলেন কার্লোস আলকারাজ।
২২ বছর বয়সী স্প্যানিশ তারকা ৬-২, ৩-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে জিতেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ইউএস ওপেন জিতলেন এবং মোট ছয় নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা অর্জন করলেন।
এই জয়ের ফলে আলকারাজ সোমবার থেকে আবারও বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে ফিরবেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এক নম্বর হারানোর পর এটিই হবে তার প্রত্যাবর্তন। এর সঙ্গে শেষ হলো সিনারের হার্ড কোর্ট গ্র্যান্ড স্ল্যামে টানা ২৭ ম্যাচের জয়রথও। সিনার ম্যাচ শেষে বললেন, ‘আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এর বেশি কিছু করার ছিল না।’
আলকারাজ ও সিনার মিলে শেষ আটটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের চারটি করে ভাগ করে নিয়েছেন। টেনিস দুনিয়ায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন এই দুই তরুণ। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে স্প্যানিশ তারকার দাপটই বেশি। সিনারের বিপক্ষে গত আট ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছেন আলকারাজ।
ইউএস ওপেনে পুরুষদের টানা শিরোপা ধরে রাখার খরা আরও দীর্ঘ হলো। রজার ফেদেরারের পর আর কেউ তা পারেননি। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাঁচবার টানা জিতেছিলেন।
রবিবারের ফাইনাল জমে উঠেছিল আরও একটি কারণে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন দর্শকসারিতে। জাতীয় সংগীত শুরুর আগে তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তখনো মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিললেও ম্যাচের মাঝে বড় পর্দায় তাকে দেখানো হলে অনেক দর্শক ঠাণ্ডা অভ্যর্থনা জানান।
মাঠে ছিলেন আরও অনেক তারকা। রকস্টার ব্রুস স্প্রিংস্টিন, ফ্যাশন আইকন টমি হিলফিগার, অভিনেতা মাইকেল ডগলাস ও বাস্কেটবল সুপারস্টার স্টিফেন কারি উপস্থিত ছিলেন কোর্টে।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]