১৪ অক্টোবর ২০২৫

ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা
বাংলাপ্রেস অনলাইন: সাফ গেমসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল দল ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোনো মেয়েদের সামনে আট মাসের ব্যবধানে সাফের দ্বিতীয় শিরোপা ছোঁয়ার সুযোগ। দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে ওঠা ছোটনের শিষ্যরা এখন সেই প্রস্তুতিই নেবে। বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৪ গোলে উড়িয়ে শুরু করে। এরপর নেপালের বিপক্ষে  তহুরা-শামসুন্নাহারদের জয়টা ৩-০ গোলের হলেও পাত্তা পায়নি নেপাল। দুই ম্যাচে ১৭ গোল দিয়ে সেমিতে ওঠা আঁখি-মারিয়ারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় স্বাগতিক ভুটানকে। কিন্তু ভুটানের স্বাগতিক তকমা আনাই মোগিনিদের প্রথমার্ধে রুখতে পারেনি। বাংলাদেশকে পেছনে ঠেলে দিতে পারেনি ভুটানের সমর্থক কিংবা জল-হাওয়া। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে আঁখিরা বুঝিয়ে দিয়েছে ফাইনালে ওঠার দাবিদার তারাই। মনে করিয়ে দিয়েছে আট মাস আগেও শিরোপা উঠেছে তাদের হাতে। তবে তারা আফসোস করতে পারে প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেও জয়টা আরও বড় হলো না। সেমিফাইনালে অবশ্য ভুটানের জালে ৫ গোল দেওয়াও কম না। ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথমার্ধে ভালো শুরু করে মারিয়া-তহুরারা। প্রথম গোল পেতে ছোটনের দলকে ১৮ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। দলের পক্ষে আনাই মোগিনি প্রথম গোল করে। এরপর আবার ২০ মিনিট বাংলাদেশকে আঁটকে রাখে স্বাগতিক ভুটান। ৩৮ মিনিটের মাথায় আনুচিং মোগিনি গোল করে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেয়। এর পরপরই আরেক গোল করে তহুরা খাতুন। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে তার করা গোলে প্রথমার্ধে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ মিনিটে গোল পান মারিয়া মান্দা। তার গোলে বাংলাদেশ ৪-০ গোলে এগিয়ে যায়। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বদলি নামা শাহিদা গোল করে দলের ৫-০ গোলের জয় এনে দেয়। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাফে খেলা তাদের তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২২ গোল দিয়েছে। বিপরীতে এক গোলও হজম করতে হয়নি তাদের। ফাইনালেও তারা এই ধারা ধরে রাখতে পারলে শিরোপা ছোটনের শিষ্যদের হাতেই উঠবে। আর সেই লড়াইয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন