নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন দুরুদ মিয়া রনেল। গত বুধাবার (১৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে তার সাংগঠনিক সম্পাদকের মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। রনেল দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কর্মাকান্ডকে আরও গতিশীল করতে শূন্য পদ পূরণের এক কর্মসুচি গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় দুরুদ মিয়া রনেলকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এক সময়ের সিলেটের রাজপথের আওয়ামীলীগ কর্মী দুরুদ মিয়া রনেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ যে দায়িত্ব দিয়েছেন যথাযথ মর্যাদার সাথে তিনি তা পালনে সচেষ্ট থাকবেন। দলের যে কোন সঙ্কটে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করবেন আশা প্রকাশ করেন এবং একই সাথে তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
প্রায় ১৩ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সদস্যের মৃত্যু ও কিছু সদস্য দেশে গিয়ে স্ব স্ব এলাকার রাজনীতিতে যুক্ত থাকার ফলে বর্তমানে কিছু সংখ্যক পদ শূন্য ঘোষণা করা হয় বলে জানা গেছে।

অন্যান্য পদে নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন-যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসানকে সহ-সভাপতি, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সোলায়মান আলীকে সহ-সভাপতি, জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কয়েসকে সহ-সভাপতি, প্রচার সম্পাদক হাজী এনামকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসানকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন বাবুকে সাংগঠনিক সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাফিজুর রহমান তুরানকে প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হামিদকে প্রচার সম্পাদক, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা খান শওকতকে উপ-প্রচার সম্পাদক, সদস্য সৈয়দ কামরুল ইসলাম হিরাকে অর্থ সম্পাদক। এছাড়াও সদস্য করা হয়েছে সিরাজুল ইসলাম সরকার, হুমায়ুন কবীর, মেহরাজ ফাহমী, জনি ও সাইফুল আলম।
বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]