
যুক্তরাষ্ট্র উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ‘ফ্লোরেন্স’


বাংলাপ্রেস অনলাইন : শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের উপকূল বরাবর এলাকা ছেড়ে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।ফ্লোরেন্স’ কয়েক দশকের মধ্যে এই অঞ্চলটিতে আঘাত হানতে যাওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের, খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘূণিঝড়টির জন্য প্রস্তুতি নিতে ধারাবাহিক কয়েকটি সতর্কর্তা জারি করেছেন।ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে চার মাত্রার এই ঘূর্ণিঝড়টি ক্যারোলাইনা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এটি ক্রমাগতভাবে শক্তিশালী হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়টি যে পথে এগিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে বৃহস্পতিবার রাতে এটি উত্তর ক্যারোলাইনার উয়িলমিংটনে আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।“অনেক বছরের মধ্যে পূর্ব উপকূলে আঘাত হানাতে যাওয়া অন্যতম সবচেয়ে মারাত্মক ঝড়,” টুইটে বলেছেন ট্রাম্প।সাউথ ক্যারোলাইনা, নর্থ ক্যারোলাইনা ও ভার্জিনিয়ায় অনেকগুলো ‘বাধ্যতামূলক সরে যাওয়ার’ নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নর্থ ক্যারোলাইনা ও ভার্জিনিয়াতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সাউথ ক্যারেলাইনার গভর্নর হেনরি ম্যাকমাস্টার মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে উপকূলরেখার সব বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।উয়িলমিংটনে অবস্থিত নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচএস) বলেছে, “আগামী ৩৬ ঘন্টায় ফ্লোরেন্স আরও শক্তি অর্জন করবে এবং বৃহস্পতিবার নাগাদ এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক মহাঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
আটলান্টিকের উষ্ণ জলের সংস্পর্শে এসে এটি পাঁচ মাত্রা পর্যন্ত শক্তি অর্জন করতে পারে বলেও আশঙ্কা পূর্বাভাসকারীদের। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের পাশাপাশি অন্যান্য এলাকাগুলোতেও এটি তুমুল বৃষ্টি ও বন্যা নিয়ে আসতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাপ্রেস /এফএস
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন





