১৪ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সরাতে বাধ্য করলেন বিএনপির কর্মীরা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সরাতে বাধ্য করলেন বিএনপির কর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে টাঙানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরাতে বাধ্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীরা। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। নিউ ইয়র্ক দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী ফোন দিয়ে কন্সাল জেনারেল ও ডিপুটি কন্সাল জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে চান। তারা তাদেরকে আসতে বলেন। কিন্তু তারা একত্রে ৪০/৫০ জন কন্স্যুলেট ভবনের সামনে গিয়ে হাজির হন। প্রথমে তিনজনকে আলোচনার জন্য ডাকা হলে তারা অতর্কিতভাবে ৪০/৫০ একত্রে কন্স্যুলেটের ভেতরে ঢুকে পরেন। প্রথমেই তারা জানতে চান অফিসে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি আছে কিনা? এমন সময় তারা কন্সাল জেনারেল নাজমুল হুদার কার্যালয়ে এবং ডিপুটি কন্সাল জেনারেল নাজমুল হাসানের কার্যালয়ে ঢুকে দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেখতে পেয়ে তারা নিজেরাই ছবি নামাতে যান। কন্সাল জেনারেল ও ডিপুটি কন্সাল তাদেরকে বলেন আমাদের হাতে একটি নির্দেশনা এসেছে সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ফেলার। আমরা এ ছবি এখনই সরিয়ে নেব। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজ হাতে ছবি ও কিছু নৌকা নামিয়ে ফেলেন। বঙ্গবন্ধুর ছবি সরাতে চাইলে ডিপুটি কন্সাল জেনারেল নাজমুল হাসান তা নিজের হাতে সরিয়ে ফেলেন। তবে তারা কোন ধরনের ভাংচুর বা ক্ষয়ক্ষতি করেননি বলে জানান ডিপুটি কন্সাল। কন্সাল জেনারেল নাজমুল হুদা জানান দূতাবাসে টাঙানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামাতে বাধ্য করা কাউকেই তিনি চেনেন না। এর আগে কখনও তাদেরকে দেখেননি। একইভাবে ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে টাঙানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামাতে বাধ্য করা হয়েছ বলে জানা গেছে। বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন