১৪ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি পিতা-পুত্র নিহত

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি পিতা-পুত্র নিহত
  আবু সাবেত: যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটে এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি পিতা-পুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে হামট্রামিক শহরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। এ দুর্ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে হ্যামট্রাম্যাক পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সুনামগঞ্জের ছাতকের বুরাইরা গ্রামের নুর মিয়া ও তাঁর ছেলে এম মাহিদুল ইসলাম সুজন। জানা যায়, ডেট্রয়েটের কনান্ট রোড ও ম্যাকনিকলস রোডের সংযোগস্থলের কাছে (ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পলের কাছে) এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। হ্যামট্রাম্যাক পুলিশ প্রধান জামিল আল তাহেরি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, একটি সন্দেহজনক গাড়ীর যাত্রীদের পুলিশ তাড়া করলে দ্রুত গতিতে গাড়ীটি পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল ইন্টারসেকশানে দাড়িয়ে থাকা মাহিদুল ইসলাম সুজনের গাড়ীতে আঘাত করে এতে ঘটনাস্থলেই সুজন ও তার বাবা মৃত্যু হয়। ঘটনায় আরো ৩ জন আহত হন। এ দুর্ঘটনায় এখানে থাকা ৬টি গাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। হ্যামট্রাম্যাক পুলিশ প্রধান জামিল আল তাহেরি বলেন, এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা, নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। মিশিগান স্টেট পুলিশ ও ডেট্রয়েট পুলিশ বিভাগ হ্যামট্রাম্যাক পুলিশকে এ ঘটনার তদন্তে সাহায্য করছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। মাহিদুলের মামাতো ভাই নাভেদ আহমদ বলেন, মাহিদুল বিবাহ সূত্রে বেশ কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। মাস দুয়েক আগে বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সেখানে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার রাতে মাহিদুল তাঁর বাবাকে নিয়ে প্রাইভেটকারে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশির মৃত্যুতে ডেট্রয়েটসহ যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমুউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন