বাংলাপ্রেস ডেস্ক: গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
পরে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানার সামনে সরিয়ে নিলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রমিকদের অভিযোগ, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় অবস্থিত বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেনি। একাধিকবার তারিখ দিলেও শ্রমিকরা তাদের পাওনা পাননি। গত ১১ মার্চ হঠাৎ কারখানা বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গত ২০ মার্চের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলেও ১,৫০০ জন শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ১,২৫০ জন তাদের পাওনা পান। বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে মালিকপক্ষ ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ নীতি ঘোষণা করে কারখানা বন্ধ করে দেয়।
এতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রবিবার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে উভয়মুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
কারখানার এক শ্রমিক শাহিন মিয়া বলেন,আমরা দুই মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেছে। ঈদের আগে যদি পাওনা না পাই, তাহলে আমরা কীভাবে চলব?
আরেক শ্রমিক শারমিন আক্তার বলেন,প্রতিদিন মালিকপক্ষ শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু টাকা দিচ্ছে না। আমরা বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছি। ঈদের বোনাস তো দূরের কথা, ফেব্রুয়ারির বেতনই পাইনি!
গাজীপুর শিল্প পুলিশের ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন,শ্রমিকদের দাবি নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় শ্রমিকরা দ্রুত বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পাওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি/টিআই