নোমান সাবিত: যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাহাড়ঘেরা ফোর্ডো স্থাপনাও। স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন।
তিনি ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায়—ফোর্ডো, নাটাঞ্জ ও ইসফাহানে—খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে। প্রধান টার্গেট ফোর্ডোতে সম্পূর্ণ বোমা পে-লোড ফেলা হয়েছে। সব বিমান নিরাপদে ঘাঁটির পথে ফিরছে। আমাদের মহান আমেরিকান যোদ্ধাদের অভিনন্দন। বিশ্বের আর কোনো সেনাবাহিনী এটা করতে পারত না। এখনই শান্তির সময়!’
এই হামলার ঘোষণা আসে ঠিক দুই দিন পর, যখন হোয়াইট হাউজ জানিয়েছিল ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়াবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবেন, যাতে আলোচনার সুযোগ তৈরি থাকে। পরবর্তীতে ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে জানান, তিনি শনিবার রাত ১০টায় (ইস্টার্ন টাইম) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি, যুক্তরাষ্ট্র ফোর্ডোর মতো পাহাড়ের নিচে অবস্থিত স্থাপনাগুলোতে হামলার জন্য বিশেষায়িত ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করেছে কি না।
ইসরায়েল চলতি মাসের শুরুতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়, যাতে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ইরানি সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে তেহরান।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রাথমিক হামলায় জড়িত ছিল না, তবুও বিশ্বজুড়ে নজর ছিল ট্রাম্পের ওপর—তিনি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে যুক্ত হবেন কি না।
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া যাবে না, এবং কোনো চুক্তির অংশ হিসেবেও তেহরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের অনেকে, যেমন কংগ্রেসওম্যান মারজোরি টেইলর গ্রিন (জর্জিয়া) ও স্টিভ ব্যানন, যুক্তরাষ্ট্রকে বিদেশি সংঘাতে জড়ানো নিয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মতে, এটি ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি।এসএম